ডিভিডেন্ড প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের দাবি: কী করবে বিএসইসি?

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানি ডিভিডেন্ড ঘোষণার নামে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি তুলেছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন তদন্ত করার জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বেশ কয়েকটি কোম্পানির ডিভিডেন্ড প্রতারণার কথা উল্লেখ করে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন তদন্তের দাবি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এ.কে.এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত ৮ কোম্পানির জন্য পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোম্পানিগুলোর অসত্য আর্থিক প্রতিবেদন, দুর্বল করপোরেট গভর্ন্যান্স, ডিভিডেন্ড প্রদান না করা, রিজার্ভে টাকা রেখে লুটপাট করা, দুর্বল আইপিও অনুমোদন এবং রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। সম্প্রতি কিছু কিছু কোম্পানির ডিভিডেন্ড প্রতারণার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল হচ্ছে।
তাদের দাবি, পর্যপ্ত মুনাফা ও রিজার্ভ থাকা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিচ্ছে না। আবার কোনো কোনো কোম্পানি নামমাত্র ডিভিডেন্ড দিচ্ছে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এ দাবির প্রেক্ষিতে কী করতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা? আমরা মনে করি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনেক কিছু করার আছে। বিশেষ করে বিষয়টি তদন্ত করে কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন। এটি করা হলে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলো দায়িত্বশীল আচরণ করবে বলে আশা করা যায়।

Tagged