ডিজিটাল পশুরহাট পরিস্থিতির দাবি

করেনোকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকতার স্বপ্ন দেখছে গোটা বিশ্ব। করোনাকালে বদলে গেছে আমাদের দৈনন্দিন জীবন, আচার, ব্যবহার ও খাদ্যাভ্যাস। দেশের যোগাযোগ, কেনাবেচা, লেনদেন, অফিস-আদালতের কাজ অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। এ সময়ে চলে আসছে ঈদুল আজহা। সারা দেশে বসছে কোরবানির পশুর হাট। সংক্রমণ এড়াতে এখন ডিজিটাল পশুর হাটই পরিস্থিতির দাবি।

আমরা দেখেছি, করোনার সময়ে এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ এলেও সেভাবে উদযাপন হয়নি বললেই চলে। ফলে উৎসবকে কেন্দ্র করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; পাশাপাশি ব্যাহত হয়েছে দীর্ঘকালের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা। দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন ও কোরবানির পশুর হাট নিয়ে একধরনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। করোনাকালে যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করার সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ডিজিটাল হাট চালু করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘ডিজিটাল হাট’। এটি বাস্তবায়ন করতে সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখা দরকার, দেশবাসীর জীবন বাঁচানোই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। তাই সরকারের উদ্যোগ যাতে সফল হয় এটি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজেন।

Tagged