চরম ক্রেতা সংকট পুঁজিবাজারে, নিঃস্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে দিন দিন চরমে উঠছে ক্রেতা সংকট। প্রতিদিন ক্রেতাশূন্য অবস্থায় পড়ে থাকছে অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে ঘটছে টানা দরপতন। সেই সঙ্গে চলছে লেনদেন খরা। বাজারের এমন করুণ দশা দেখে রাস্তার নেমে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

কয়েক মাস ধরেই পুঁজিবাজারে বিরাজ করছে ক্রেতা সংকট। তবে সম্প্রতি সেই অবস্থা প্রকট হয়ে উঠেছে। এতে ধারাবাহিকভাবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। আর লেনদেন কমতে কমতে ঠেকেছে তলানিতে।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো গত রোববারও (২৬ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজারে চরম ক্রেতা সংকট ছিল। এদিন লেনদেনের একপর্যায়ে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২২৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষ পর্যায়েও এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রেতার ঘর শূন্যই থাকে।

ফ্লোর প্রাইসে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসে। অন্যদিকে শূন্য পড়ে থাকে ক্রয় আদেশের ঘর।

আর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১০৪টির শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ শেয়ার ও ইউনিট বিক্রির আদেশ আসে এবং শূন্য হয়ে পড়ে ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছেন বিনিয়োগকরীরা।

Tagged