গুজবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

ফ্লোর প্রাইস উঠে যাচ্ছে এবং অর্থনীতি আরও খারাপ হবে—এমন গুজবে পুঁজিবাজারে আবারও বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ১২০ পয়েন্ট কমে আবারও সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে এসেছে।

বড় এ পতনের ফলে ডিএসইএক্স সূচকটি গত এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছে। গত সোমবার দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স সূচকটি ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।

ওই দিন লেনদেন শুরুর একপর্যায়ে বাজারে গুজব ছড়িয়ে পড়ে শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হচ্ছে।

তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় শেয়ারের দামও দ্রুত কমতে থাকে। সে কারণে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। যদিও বিএসইসি জানা গেছে, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে বিএসইসিতে কোনো আলোচনাও হয়নি।

সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, আগামী বছর বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সেটি হলে তার ধাক্কা লাগবে দেশের অর্থনীতিতেও। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আসায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ভর করেছে।

এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে উন্নীত হওয়ার খবরও বেরিয়েছে। আবার সেপ্টেম্বরে কমেছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়। এসব খবরে সপ্তাহের প্রথম লেনদেন দিবসে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে সূচকের বড় ধরনের পতন হলেও লেনদেনের গতি ছিল বেশ ভালো।

আমরা বারবার যে বিষয়টি বলে আসছি, সেটি হচ্ছে, গুজবের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। না হলে থেমে থেমে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Tagged