কারসাজিকারীরাই বাজারে আতঙ্ক তৈরি করছে

পুঁজিবাজার থেকে কারসাজি দূর করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিনিয়ত কারসাজির শিকার হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। আর কতটা চলবে এই খেলা? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? কার কাছে যাবেন বিনিয়োগকারীরা।

আগের দিন গত রোববার পুঁজিবাজারে হঠাৎ করে বড় পতন দেখা দেয়। এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে পরিমাণ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছিল, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

কিন্তু গতকাল সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস পতন প্রবণতা আরও ঘনীভূত হয়েছে। এদিন তালিকাভুক্ত ৪১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের। এতে দেখা যায়, গতকাল প্রায় সড়ে ৮ গুণ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বাজারে এমন পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হঠাৎ করে অজানা আতঙ্ক ভর করে। পতনের ধারাবাহিক চাপ দেখে অনেক বিনিয়োগকারী হতভম্ব হয়ে যান।

কারসাজিকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে বাজারে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি যেসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি দেখা গেছে, গতকাল ও আগের দিন সেসব শেয়ারেরই পতন বেশি হয়েছে। যা গোটা বাজারকে প্রভাবিত করেছে।

এদিন পতনের শীর্ষ তালিকাজুড়ে রয়েছে ‘বি’ ও ‘জেড’ ক্যাটাগরির দুর্বল শেয়ার। আবার লেনদেনের তালিকায়ও আধিপত্য বিস্তার করেছে ‘বি’ ক্যটাগরির এসব দুর্বল শেয়ার। এতে পরিস্কার বুঝা যায়, কারসাজিকারীরাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাজারে আতঙ্ক তৈরি করছে। তাদের শেয়ার বিক্রির চাপেই বাজারে বড় পতন।

Tagged