করোনা কিংবা বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু, কোনোটাই কাম্য নয়

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। শহর থেকে গ্রামে আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতিতে শঙ্কিত মানুষ। শহরে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার বেহাল থাকলেও মানুষ কোথাও যেতে পারছে বা পরামর্শ অন্তত নিতে পারছে। কিন্তু গ্রামে চিকিৎসা পরিস্থিতির বিষয়টি তুলনামূলক কঠিন।

এদিকে কোথাও কোথাও হাসপাতালের পর হাসপাতাল ঘুরেও রোগীদের চিকিৎসা সেবা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। প্রাইভেট চেম্বারগুলোতে চিকিৎসকের দেখা নেই। পুরো চিকিৎসা সেক্টর ভুগছে করোনা আতঙ্কে। নিয়মিত কর্মস্থলে যাচ্ছেন না অধিকাংশ সিনিয়র চিকিৎসক। সীমিতসংখ্যক জুনিয়র চিকিৎসক দিয়ে নামমাত্র চালু রাখা হয়েছে হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ এবং অন্য সব ধরনের রোগীকে পৃথক পৃথক ইউনিটে চিকিৎসা দেয়ার প্রস্তুতি নেই অনেক বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের। আবার ‘করোনামুক্ত সনদ’ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহণ ও নতুন রোগী ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। এই সনদ পাওয়াও এখন ভাগ্যের বিষয়। গণমাধ্যমের বরাতে এসব খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা দুঃখজনক। আমরা মনে করি, করোনা হোক কিংবা অন্যকোনোভাবে মৃত্যু হোক, কোনোটাই কাম্য নয়। প্রতিটি জীবনই মূল্যবান।

আমাদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি পেশার মানুষেরই কিছু নৈতিক দায় থাকে। যুদ্ধাবস্থা থাকলে সংশ্লিষ্টদের ঝুঁকি বাড়লেও দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ থাকে না। বর্তমান সময়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বটাই বেশি। তাই এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও পিছু হটার সুযোগ নেই। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেশবাসীর প্রতি দায়বোধ অটুট থাকবে।

Tagged