এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন : ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ

টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে দেশের দেশের পুঁজিবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবারও প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।

এর আগে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ ঘিরে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও ছিলেন উদ্বিগ্ন। ফলে টানা দরপতনের সঙ্গে দেখা দেয় লেনদেন খরা। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবেসের মধ্যে দুই কার্যদিবস তিনশো কোটি টাকার কম লেনদেন হয়। বাকি তিন কার্যদিবস লেনদেন ছিলো তিনশো কোটি টাকার ঘরে। এতে লেনদেন কমতে কমতে ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থায় চলে যায়।

তবে বিএনপির গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারার দেখা মিলে। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি। আগের দুই কার্যদিবসের মতো মঙ্গলবার সূচক ও লেনদেন বাড়ার মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী ধারা থাকলো।

অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় ডিএসই ও সিএইতে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখনো বেশি রয়েছে। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (সর্বনিম্ন দাম) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতার দেখা তেমন একটা পাওয়া যাচ্ছে না। এখন দেখা এই চ্যালেঞ্জ ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

Tagged