একের পর এক সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের উন্নতি কতটুকু?

সংশ্লিষ্ট সব মহলের দাবি, পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য সবকিছু করা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে একের পর এক সিদ্ধান্ত। এরপরও প্রশ্ন হচ্ছে- পুঁজিবাজারের উন্নতি কতটুকু? এসব সিদ্ধান্তের ফল কতটা ঘরে তুলতে পারেছেন বিনিয়োগকীরা আর কতটা যাচ্ছে কারসাজিচক্রের পকেটে? কোথায় পাওয়া যাবে এ প্রশ্নের উত্তর। সিদ্ধান্ত যতই হোক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আহাজারি থামছে না। গত প্রায় এক দশক ধরেই বিনিয়োগকারীদের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে পুঁজিবাজার। এভাবে আর কতদিন চলবে?

পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক ও আগ্রাসী দরপতন থামাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) লেনদেনে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে। সে সময়ই বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে ছিলেন। পুঁজিও হারিয়েছিলেন অনেকে। সম্প্রতি বিএসইসি বাজার থেকে ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেয় আর বাজারে নেমে আসে বড় ধরনের ধস। এতে নতুন করে আরও ক্ষতির মধ্যে পড়লেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে সিদ্ধান্ত যা-ই হোক, ক্ষতি সেই বিনিয়োগকারীদেরই। যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলে আসছে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেই তারা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একই সঙ্গে একটি উন্নত পুঁজিবাজারের জন্য সবকিছু করা হচ্ছে বলেও সংশ্লিষ্ট মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে। কার্যত বাজারের সেই উন্নতি কতটুকু হলো সেই প্রশ্ন থেকেই গেল।

Tagged