আইপিও কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার: পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক

এমএইচ রনি:

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলোর লেনদেনের প্রথম দিন থেকে থাকবে লেনদেন সীমা অর্থাৎ সার্কিট ব্রেকার। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)এমন নির্দেশনা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, বিএসইসিকে ডিএসই’র প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত নতুন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ লেনদেনের শুরুর দিন থেকে সার্কিট ব্রেকারের আওতায় থাকবে। প্রথম দিন ইস্যুমূল্যে ৫০% এবং দ্বিতীয় দিন (লেনদেনকৃত শেয়ারের রেফারেন্স মূল্য/বিগত দিনের সমাপ্ত মূল্য/ সমন্বিত প্রারম্ভিক মূল্য) এর ওপর ৫০% হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। পরবর্তীতে তৃতীয় লেনদেনের তারিখ থেকে স্বাভাবিক হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। যার ফলে পুঁজিবাজারে বাড়বে স্বচ্ছতা, লেনদেনে অনিয়ম কমবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংক এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ এসএমজে২৪ ডটকমকে বলেন, আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর লেনদেনের শুরুতে এতোদিন কোন লিমিট না থাকায় এক পক্ষ লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অধিকাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ নির্দেশনার ফলে লেনদেনে অনিয়ম বন্ধ হবে।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি একেএম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারে লাগামহীন পতনে আমরা দিশেহারা।এ অবস্থা এমন সিদ্ধান্ত বাজারের জন্য ইতিবাচক। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আইপিও চাইনা। আগামী তিন বছর যেনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোন আইপিও অনুমোদন না দেয়।

একই প্রসঙ্গে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএসইসির এ নির্দেশনাকে সাদুবাদ জানাই। পাশাপাশি আগামী তিন বছর আইপিও বন্ধও চাই। তবে বিশেষ বিবেচনায় ভালো দুএকটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লেনদেনের প্রথম দিকে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারের উচ্চমূল্য থাকায় এনআরবি কোটাসহ লটারিতে প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীগণ প্রাথমিক শেয়ারসমূহে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ার তার প্রথম দিনের উচ্চ মূল্য ধরে রাখতে পারে না। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং সূচকের ওপর ঋণাত্মক প্রভাব পড়ে। যে কারণ সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সংস্থা।

Tagged