অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য এবং পুঁজিবাজারের চিত্র

দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে জাতীয় সংসদের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাংসদ বেগম রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে গত বুধবার তিনি বলেন- বিদ্যমান বিও একাউন্টধারীদের মধ্যে সকল বিনিয়োগকারী একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন না। কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী প্রায়শই লেনদেন করেন, কিছু সংখ্যক বিনিয়োগকারী স্বল্প ও দীর্ঘ বিরতির পর লেনদেন করেন। মন্ত্রী আরো বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্যের উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা, এর ফলে বিনিয়োগকারীগণ স্বাভাবিক নিয়মেই লাভ-লোকসান করতে পারেন।

অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্য আমরাও সমর্থন করি। কিন্তু কথা হচ্ছে, মন্ত্রীর ভাষ্য- উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বর্তমান পুঁজিবাজার উত্থান-পতনের স্বাভাবিকতা রয়েছে কি? আমরাতো কেবল লক্ষ্য করছি সূচকের এক তরফা পতন। বাজার থেকে মূলধন বেরিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা দরপতনে নিঃস্ব হয়ে আহাজারি করছেন। কার্যকর সুশাসন নেই। এটিকে তো স্বাভাবিক বাজার বলার সুযোগ নেই।

গণতান্ত্রিক দেশে জাতীয় সংসদ মানুষের চাওয়া-পাওয়া পূরণ হওয়ার জায়গা। সেখানে পুঁজিবাজার নিয়ে আলোচনা হওয়া খুবই ইতিবাচক বিষয়। কিন্তু আলোচনা যেন শুধুই কাগুজে বিষয় না। এর মধ্য দিয়ে যাতে গণমানুষের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে। কারণ দেশবাসী এর আগেও অনেক প্রতিশ্রুতি ও আলোচনা শুনেছে, সেগুলোর সব বাস্তাবায়ন দেখা যায়নি। একটি স্বাভাবিক পুঁজিবাজারের দাবি দীর্ঘ সময় ধরে মানুষ করে আসছে। এটি যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে আর কিছুই দরকার নেই। উন্নতবিশ্বের মতো আপন গতিতেই পুঁজিবাজার চলবে। এর জন্য দরকার সব মহলের আন্তরিকতা ও সুশাসন।

Tagged