নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১৯ কোম্পানির মধ্যে ৫০ কোম্পানির পরিচালকের শেয়ার ৩০ শতাংশের কম রয়েছে। অথচ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। তা না হলে তারা শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। দেখা গেছে সম্প্রতি ওই নির্দেশনা না মেনে ৩০ শতাংশের কম শেয়ার থাকা সত্তে¡ও তারা শেয়ার বিক্রি করেছেন বলে জানায় বিএসইসি সূত্র।
সূত্র মতে, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় শেয়ার না থাকলেও এ কোম্পানির পরিচালক মো. শামসুল হুদা ঘোষণা ছাড়া শেয়ার বিক্রি করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাকি যেসব কোম্পানির পরিচালকের সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশের নিচে রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জানা যায়, ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে রাইট ওফার, আরপিও, বোনাস শেয়ার, কোম্পানি একীভূতকরণসহ কোনো প্রকারের মূলধন উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া কোনো পরিচালক যদি এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়; তাহলে ওই শূন্য পদ পূরণ করতে যাদের ২ শতাংশ পরিমাণ শেয়ার রয়েছে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের থেকে পরিচালক মনোনীত করার জন্য বিএসইসির নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা পরিচালকগণ সম্মিলিতভাবে ওই শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জন্য একটি আলাদা ক্যাটাগরি করবে, এমন পরিকল্পনা রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
এদিকে সম্মিলিত শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়া অন্য পরিচালকদের ক্ষেত্রেও আলহাজ্ব টেক্সটাইলের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শামসুল হুদার মতো কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিএসইসি।
পরিচালকদের প্রয়োনীয় শেয়ার ধারণে ব্যর্থ অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এ বি ব্যাংক লিমিটেড ২৯.২৫ শতাংশ, ব্যাংক লিমিটেড ৮.৩৩ শতাংশ, পূবালি ব্যাংক লিমিটেড ২৯.৯৯ শতাংশ, উওরা ব্যাক লিমিটেড ২৪.৫১ শতাংশ, কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড ২.৮৮ শতাংশ, বে লিজিং ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ২৮.২৬ শতাংশ,এফএএস ফাইন্যান্স ও ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ১৩.২০ শতাংশ, পিপলস লিজিং এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড ২৩.২১ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ৫.৩৩ শতাংশ, স্টান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ২৮.৫০ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ২৮.৪২ শতাংশ, ফাইন ফুডস লিমিটেড ৫.০৯ শতাংশ,ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড৫.৩৬ শতাংশ,অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২৭.৭৭ শতাংশ, আফতাব আটোমোবাইলস লিমিটেড ২৮.৪২ শতাংশ,এপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড ২০.২৪ শতাংশ, এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড ০.০০ শতাংশ, বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড ২৮.৩৮ শতাংশ, কে এন্ড কিউ লিমিটেড ২৪.৬ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিস লিমিটেড ২০.৬৮ শতাংশ, সুরিদ ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড ৯.৯৯ শতাংশ, বারাকা পাওয়ার লিমিটেড ১৮.০১ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড ৯.৩৯ শতাংশ, বিডিকম আনলাইন লিমিটেড ২৩.১০ শতাংশ, ইনটেক লিমিটেড ৩.৯৭ শতাংশ, ইনফর্মেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক লিমিটেড ২১.৬২ শতাংশ, নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড ১৫.০৯ শতাংশ,এ্যাপেক্স ফুডওয়ার লিমিটেড ২৫.৪৮ শতাংশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেড ২০.১৫ শতাংশ, বাংলাদেস সার্ভিসেস লিমিটেড ০.০০ শতাংশ, এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড ১২.০৪ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ১৩.১৯ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২৫.৮৯ শতাংশ,ইমাম বাটন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২৯.৩৩ শতাংশ,ফার্মা এইডস লিমিটেড ২৪.২২ শতাংশ, স্যালভো ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২২.১৪ শতাংশ,বাংলাদেশ জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ১৯.৯১ শতাংশ, কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স লিমিটেড ২৮.০০ শতাংশ,মেঘনা লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ১৮.০৭ শতাংশ, পিপলস ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৪.৮৪ শতাংশ, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২৮.৯৮ শতাংশ,আল-হ্জ্ব টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১২.৭৮ শতাংশ, সি এন্ড এ টেক্সটাইলস্ লিমিটেড ২২.১৪ শতাংশ, ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেড১৮.০০ শতাংশ,দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস লিমিটেড ২১.০৪ শতাংশ,ফ্যালিটেক্স লিমিটেড ৪.০২ শতাংশ, জেনারেসন নেক্সট ফ্যাশনস্ লিমিটেড ১৩.৮২ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড ২৮.৩৭ শতাংশ,মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড ২৬.২০ শতাংশ,মিথুন নিটিং এন্ড ডাইং লিমিটেড ১৭.২০ শতাংশ, তাল্লু স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড ২৯.০৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, আলহাজ্ব টেক্সটাইলের পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে শেয়ার ধারণের পরিমাণ ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে ছিল ৩০.২০ শতাংশ। কোম্পানিটির পরিচালকদের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বর্তমানে তাদের সম্মিলিত শেয়ার ধারণের পরিমাণ ১২.৭৮ শতাংশ।
এসএমজে/২৪/এমএইচ
ব্রেকিং নিউজ :