সংবিধানে বর্নিত কোম্পানী সংক্রান্ত আইন (৫ম ধাপ)

চিরস্থায়ী (perpetual) ডিবেঞ্চার

১৭৭৷ কোন ডিবেঞ্চারে অথবা ডিবেঞ্চারের অর্থ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রণীত

দলিলে কোন শর্ত থাকিলে, এই আইন প্রণীত হওয়ার পূর্বে বা পরে যখনই উক্ত ডিবেঞ্চার ইস্যু বা উক্ত দলিল সম্পাদিত হউক না কেন, উক্ত শর্ত কেবলমাত্র এই কারণে অবৈধ হইবে না যে, তদ্বারা উক্ত ডিবেঞ্চার, কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট ঘটনা, যত দূরবর্তী হউক, সংঘটিত হওয়া সাপেক্ষে বা কোন নির্দিষ্ট সময়, যত দীর্ঘ হউক, অতিবাহিত হওয়া সাপেক্ষে, পরিশোধযোগ্য বা অপরিশোধযোগ্য হওয়ার বিধান করা হইয়াছে৷

কতিপয় ক্ষেত্রে পরিশোধিত ডিবেঞ্চার পুনরায় ইস্যুর ক্ষমতা

১৭৮৷ (১) এই আইন প্রবর্তিত হওয়ার পূর্বে বা পরে যখনই হউক, যেক্ষেত্রে কোন কোম্পানী পূর্বে ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চার পরিশোধ করে, সেক্ষেত্রে উক্ত ডিবেঞ্চার পুনরায় ইস্যু করার উদ্দেশ্যে উহাকে চালু রাখার অধিকার কোম্পানীর থাকিবে এবং সর্বদা এই অধিকার ছিল বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না-

(ক) সংঘবিধিতে বা ডিবেঞ্চার ইস্যুর শর্তাবলীতে স্পষ্টভাবে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকে, অথবা

(খ) উক্ত ডিবেঞ্চারের শুধুমাত্র মূল ধারক বা তাহার স্বত্ব-নিয়োগী কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য হয় এইরূপ বাধ্যবাধকতা ব্যতীত অন্য কোন বাধ্যবাধকতার ফলে ডিবেঞ্চার পরিশোধিত হইয়া থাকে৷

(২) উপ-ধারা ১-এ উল্লেখিত অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে পরিশোধিত (redeemable) ডিবেঞ্চারসমূহ পুনরায় ইস্যু করা বা উহাদের পরিবর্তে অন্য ডিবেঞ্চার ইস্যু করার ক্ষমতা কোম্পানীর থাকিবে এবং সর্বদা এই ক্ষমতা ছিল বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৩) উক্তরূপে পুনঃ ইস্যু করার পর, ডিবেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তি এমন অধিকার বা অগ্রাধিকার লাভ করিবেন যেন ডিবেঞ্চারগুলি পূর্বে ইস্যু করা হয় নাই এবং সর্বদা তিনি উহা লাভ করিয়াছিলেন বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৪) পুনরায় ইস্যু করার উদ্দেশ্যে চালু রাখা কোন ডিবেঞ্চার যদি, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে যখনই হউক, কোম্পানীর কোন মনোনীত ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত মনোনীত ব্যক্তি কর্তৃক ডিবেঞ্চারের পরবর্তী হস্তান্তর, এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উহার পুনঃ ইস্যু বলিয়া গণ্য হইবে৷

(৫) যদি কোন কোম্পানী উহার চলতি হিসাবের মাধ্যমে বা অন্যভাবে বিভিন্ন সময়ে লওয়া অগ্রিমের জামানত প্রদানের উদ্দেশ্যে উহার কোন ডিবেঞ্চার জমা দেয়, তাহা হইলে, উক্ত ডিবেঞ্চার জমা থাকা অবস্থায় কেবলমাত্র উক্ত হিসাবের বিপরীতে কোম্পানীর ঋণের অবসান হওয়ার কারণেই ডিবেঞ্চার পরিশোধিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না৷

(৬) এই ধারার অধীন ক্ষমতাবলে কোন কোম্পানী কোন ডিবেঞ্চার পুনঃ ইস্যু করিলে কিংবা উহার পরিবর্তে অন্য ডিবেঞ্চার ইস্যু করিলে, ষ্টাম্প-ডিউটির ব্যাপারে উক্ত পুনঃ ইস্যুকরণ বা ইস্যুকরণ ডিবেঞ্চারের নূতন ইস্যুকরণ বলিয়া গণ্য হইবে, কিন্তু ভবিষ্যতে ইস্যু করা হইবে এইরূপ ডিবেঞ্চারের পরিমাণ বা সংখ্যা সীমিতকারী বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে এইরূপ গণ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীনে পুনঃ ইস্যুকৃত ডিবেঞ্চারের জামানত লইয়া কোন ব্যক্তি ঋণ প্রদান করিলে এবং উক্ত ডিবেঞ্চার আপাতঃ দৃষ্টিতে যথাযথ ষ্ট্যাম্পযুক্ত মনে হইলে, তিনি প্রয়োজনীয় ষ্ট্যাম্প-ডিউটি বা তত্সম্পর্কিত কোন জরিমানা প্রদান ব্যতিরেকেই তাহার জামানত কার্যকর করার জন্য যে কোন আইনগত কার্যধারায় উক্ত ডিবেঞ্চারকে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করিতে পারিবেন, যদি তিনি অবগত না থাকেন অথবা যদি তাহার নিজ অবহেলার কারণে ষ্ট্যাম্পযুক্ত না থাকার ঘটনাটি সংঘটিত হইয়া না থাকে; তবে তাহার এইরূপ অবগত না থাকা বা অবহেলা না থাকার ক্ষেত্রে কোম্পানী যথাযথ ট্যাম্প-ডিউটি বা জরিমানা প্রদানের জন্য দায়ী হইবে৷

(৭) কোন ডিবেঞ্চারের অর্থ পরিশোধিত বা ভিন্নরূপে উহার দায়-দেনা মিটানো বা নিঃশেষিত হইলে, উহার পরিবর্তে কোম্পানী কর্তৃক নূতন ডিবেঞ্চার ইস্যু করার জন্য উক্ত ডিবেঞ্চার বা উহার জামানতের মাধ্যমে সংরক্ষিগত ক্ষমতা এই ধারার বিধান দ্বারা ত্মগুণ্ন হইবে না৷

ডিবেঞ্চার ক্রয়চুক্তির সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন

১৭৯৷ কোম্পানীর ডিবেঞ্চার গ্রহণ এবং তজ্জন্য অর্থ প্রদান করার লক্ষে কোম্পানীর সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তিকে আদালতের ডিক্রী দ্বারা সুনির্দিষ্টভাবে বাস্ত্মবায়িত করা যাইবে (enforced by specific performance) ৷

প্রবহমান চার্জযুক্ত পরিসম্পদ হইতে উক্ত চার্জের অধীন দাবীর পূর্বে কতিপয় ঋণ পরিশোধ

১৮০৷ (১) যদি প্রবহমান চার্জ দ্বারা নিশ্চয়তা প্রদত্ত (secured) ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের পক্ষ হইতে রিসিভার নিয়োগ করা হয় বা উক্ত ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণ কর্তৃক বা তাহাদের পক্ষে কোন চার্জযুক্ত সম্পত্তির দখল গ্রহণ করা হয় এবং যদি উক্ত কোম্পানী সংশ্লিষ্ঠ সময়ে অবলুপ্তির প্রক্রিয়াধীন না থাকে, তাহা হইলে যে সমস্ত ঋণ কোম্পানীর অবলুপ্তির ক্ষেত্রে পঞ্চম খণ্ডের বিধানুযায়ী অন্য সমস্ত ঋণের পূর্বে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিশোধ করিতে হইত সেই সমস্ত ঋণ, ডিবেঞ্চার সম্পর্কিত দাবীর আসল বা সুদ পরিশোধের, পূর্বেই, উক্ত রিসিভার তাহার নিকট ন্যস্ত্ম সম্পদ হইতে, বা সম্পত্তি দখল গ্রহণকারী ব্যক্তি তাহার দখলে গৃহীত সম্পদ হইতে অবিলম্বে পরিশোধ করিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত রিসিভার নিয়োগের তারিখ অথবা উহাতে উল্লেখিত ব্যক্তি কর্তৃক দখল গ্রহণের তারিখ হইতে উক্ত উপ-ধারায় উল্লেখিত পঞ্চম খণ্ডের বিধানে বর্ণিত সময় গণনা করা হইবে৷

(৩) এই ধারার অধীনে প্রদেয় যে কোন অর্থ, যতদূর সম্ভব, কোম্পানীর সেই পরিসম্পদ হইতে পরিশোধ করিতে হইবে যাহা সংশ্লিষ্ঠ সময়ে সাধারণ পাওনাদারগণের পাওনা পরিশোধের জন্য প্রস্তুত থাকে৷

ডব্যালান্স শীট, বিবরণী, খাতাপত্র এবং হিসাব

রতগণীয় হিসাব-বহি এবং উহা রক্ষণ না করার দণ্ড

১৮১৷ (১) প্রত্যেক কোম্পানী নিম্নলিখিত বিষয়াদি সম্পর্কে যথাযথ হিসাব-বহি রক্ষণ করিবে, যথা :-

(ক) কোম্পানী কর্তৃক জমাকৃত এবং ব্যয়কৃত সকল অর্থ এবং উক্ত জমা ও খরচের খাত;

(খ) সকল পণ্যের ক্রয় ও বিক্রয়;

(গ) সকল পরিসম্পদ ও দায়-দেনা; এবং

(ঘ) উত্পাদন, বন্টন, বিপণন, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ, শষ্য পেষণ বা চূর্ণীকরণ (milling), খনি খনন এবং খনিজ দ্রব্য উত্তোলন সংক্রান্ত্ম কার্যাবলীতে নিয়োজিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে উপকরণ, শ্রম ও অন্যান্য বিষয়ের ব্যবহারজনিত (overhead) খরচ৷

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উহাতে উল্লেখিত বিষয়সমূহের যথাযথ হিসাব-বহি রক্ষণ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না, যদি উহাতে কোম্পানীর বিষয়াদির সঠিক ও নিরপেক্ষ বর্ণনা এবং উহার লেনদেনের পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা না থাকে৷

(৩) উক্ত হিসাব-বহিসমূহে কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে রাখিতে হইবে এবং কোম্পানীর কার্যাবলী চলাকালীন সকল সময়ে ঐগুলি পরিচালকগণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, পরিচালক পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সকল বা যে কোন হিসাব-বহি বাংলাদেশের অন্য যে কোন স্থানে অনধিক ছয় মাসের জন্য রাখা যাইবে এবং পরিচালক পরিষদ এইরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে কোম্পানী উক্ত সিদ্ধান্তের সাত দিনের মধ্যে উক্ত অন্য স্থানে পূর্ণ ঠিকানা দিয়া রেজিষ্ট্রারের নিকট লিখিত নোটিশ দাখিল করিবে৷

(৪) বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের বাহিরে কোন কোম্পানীর কোন শাখা কার্যালয় থাকিলে, উক্ত কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী পালন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যদি উক্ত কার্যালয়ে কৃত লেনদেনের সঠিক বিবরণ সম্বলিত হিসাব-বহি উক্ত কার্যালয়ে রাখা হয় এবং অনধিক তিন মাস পর পর হাল নাগাদ হিসাবের একটি সংক্ষিপ্তসার শাখা কার্যালয় কর্তৃক কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে বা উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত অন্য স্থানে প্রেরিত হয়৷

(৫) প্রত্যেক কোম্পানী চলতি বত্সরের অব্যবহিত পূর্বের অনুন্য বার বত্সর সময়কালের সকল হিসাব-বহি এবং হিসাব-বহিতে লিপিবদ্ধ কোন বিষয়ের সংশ্লিষ্ঠ ভাউচার উত্তমরূপে সংরক্ষণ করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন কোম্পানী চলতি বত্সরের পূর্বে বার বত্সর অপেক্ষা কম সময়ের মধ্যে নিগমিত হইয়া থাকিলে, উক্ত কোম্পানী চলতি বত্সরের পূর্বেকার সমুদয় সময়ের হিসাব-বহি এবং উহাতে লিপিবদ্ধ সকল বিষয়ের সংশ্লিষ্ঠ ভাউচার উত্তমরূপে সংরক্ষণ করিবে৷

(৬) উপ-ধারা (৭) এ বর্ণিত ব্যক্তিগণের কেহ, কোম্পানী কর্তৃক এই ধারার পূর্ববর্তী বিধানাবলী অনুসারে প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী পালনের ব্যাপারে যুক্তিসংগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হইলে অথবা তাহার স্বেচ্ছাকৃত কাজের ফলে উক্ত বিধানাবলী পালনে কোম্পানীর দ্বারা কোন ত্রম্্নটি সংঘটিত হইলে, তিনি প্রতিটি অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ডে বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৭) উপ-ধারা (৬) এ উল্লেখিত ব্যক্তিগণ হইতেছেন নিম্নরূপ, যথা :-

(ক) কোম্পানীর কোন ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার বা ম্যানেজার থাকিলে, উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, জেনারেল ম্যানেজার, ম্যানেজার এবং কোম্পানীর অন্য সকল কর্মকর্তা, তবে ম্যানেজার ও ম্যানেজারের ব্যাংকার, নিরীক্ষকগন এবং আইন উপদেষ্টাগণ এই তালিকার বহির্ভূত;

(খ) ম্যানেজিং এজেন্ট কোন ফার্ম হইলে, উক্ত ফার্মের প্রত্যেক অংশীদার;

(গ) ম্যানেজিং এজেন্ট কোন নিগমিত সংস্থা হইলে উক্ত সংস্থার প্রত্যেক পরিচালক

ঘ) কোম্পানীর কোন ম্যানেজিং এজেন্ট বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাহী পরিচালক বা জেনারেল ম্যানেজার বা ম্যানেজার না থাকিলে, উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক৷

কোম্পানীর হিসাব-বহি, ইত্যাদি পরিদর্শন

১৮২৷ (১) প্রত্যেক কোম্পানীর হিসাব-বহি এবং অন্যান্য বহি ও কাগজপত্র কোম্পানীর কার্যাবলী চলাকালীন সময়ে রেজিষ্ট্রার কর্তৃক অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সরকারী কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শনের নিমিত্ত উন্মুক্ত রাখিতে হইবে৷

(২) কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক বা অন্যান্য কর্মকর্তার কর্তব্য হইবে তাহার জিম্মায় বা নিয়ন্ত্রণে থাকা কোম্পানীর হিসাব-বহি, অন্যান্য বহি ও কাগজপত্র উপ-ধারা (১) এর অধীনে পরিদর্শনকারী ব্যক্তি, অতঃপর এই ধারায় পরিদর্শনকারী বলিয়া উল্লেখিত, এর নিকট উপস্থাপন করা এবং উক্ত ব্যক্তির চাহিদামত সময়ে ও স্থানে কোম্পানীর বিষয়াদি সংক্রান্ত্ম যে কোন বিবরণ, তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করা৷

(৩) পরিদর্শনকারীর পরিদর্শন উপলক্ষে যে সকল সহায়তা কোম্পানীর নিকট হইতে যুক্তিসংগতভাবে আশা করা যায় সেই সকল সহায়তা দান করাও কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তার কর্তব্য হইবে৷

(৪) পরিদর্শনকারী তাহার পরিদর্শনকালে-

(ক) হিসাব-বহি, অন্যান্য বহি বা কাগজপত্রের নকল করিতে বা করাইতে পারিবেন; এবং

(খ) উক্ত পরিদর্শন করার নিদর্শনস্বরূপ উহাতে সনাক্তকরণ চিহ্ন দিতে বা দেওয়াইতে পারিবেন৷

(৫) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা চুক্তিতে পরিপন্থী যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন দেওয়ানী মামলার বিচার চলাকালে Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীনে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন দেওয়ানী আদালতের যেরূপ ক্ষমতা থাকে, উক্ত ক্ষেত্রে পরিদর্শনকারীরও সেই একই ক্ষমতা থাকিবে যথা :-

(ক) পরিদর্শনকারী কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে হিসাব-বহি ও অন্যান্য দলিলপত্র উদঘাটন (discovery) ও উপস্থাপন;

(খ) সংশ্লিষ্ঠ সকল ব্যক্তির উপর সমন জারী করা এবং তাহাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা ও শপথবাক্য পাঠ করাইয়া তাহাদের স্বাক্ষ গ্রহণ করা;

(গ) কোম্পানীর যে কোন বহি এবং অন্যবিধ দলিলপত্র যে কোন স্থানে পরিদর্শন করা৷

(৬) এই ধারার অধীনে কোম্পানীর কোন হিসাব-বহি এবং অন্যান্য বহি ও কাগজপত্র পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হইলে পরিদর্শনকারী তাহার পরিদর্শন সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করিবেন৷

(৭) এই আইনের অধীনে তদন্ত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে রেজিষ্ট্রারের যে সকল ক্ষমতা রহিয়াছে পরিদর্শনকারীরও সেই সকল ক্ষমতা থাকিবে৷

(৮) এই ধারার বিধানাবলী পালনের ক্ষেত্রে কোন ত্রম্্নটি হইলে, কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ত্রম্্নটির জন্য দায়ী তিনি, অনধিক এক বত্সরের কারাদণ্ডে এবং ইহাছাড়াও অনধিক দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৯) কোম্পানীর কোন পরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তা এই ধারার অধীনে কোন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দণ্ডিত হইলে তিনি যে তারিখে দণ্ডিত হইয়াছিলেন সেই তারিখে তাহার উক্ত পদ খালি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত পদ অনুরূপভাবে খালি হওয়ার পর পাঁচ বত্সর পর্যন্ত তিনি যে কোন কোম্পানীতে অনুরূপ কোন পদে অধিষ্ঠিত হইবার অযোগ্য হইবেন৷

ব্যালান্স শীট, বিবরণী, খাতাপত্র এবং হিসাব

বার্ষিক ব্যালান্স শীট

১৮৩৷ (১) ধারা ৮১ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানীর পরিচালক পরিষদ, এই ধারার উপ-ধারা (২) অনুসারে, একটি ব্যালান্স শীট এবং উহার লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা, কোম্পানীটি মুনাফার উদ্দেশ্যে গঠিত না হইলে, উহার আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করিবে৷

(২) উক্ত লাভ-ক্ষতি বা আয়-ব্যয়ের হিসাব নিম্নবর্ণিত সময়ের জন্য প্রণীত হইবে, যথা :-

(ক) প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভার ক্ষেত্রে, কোম্পানী নিগমিত হওয়ার তারিখ হইতে এমন একটি তারিখ পর্যন্ত যাহা উক্ত সাধারণ সভার তারিখের পূর্ববর্তী নয় মাসের মধ্যে পড়ে; এবং

(খ) পরবর্তী যে কোন বার্ষিক সাধারণ সভার ক্ষেত্রে, সর্বশেষ যে তারিখ পর্যন্ত হিসাব উপস্থাপিত হইয়াছে উহার পরবর্তী তারিখ হইতে এমন একটি তারিখ পর্যন্ত যাহা-

(অ) উক্ত সভার তারিখের পূর্ববর্তী নয় মাসের মধ্যে পড়ে, অথবা

(আ) বাংলাদেশের বাহিরে উক্ত কোম্পানীর ব্যবসা বা স্বার্থ থাকিলে, উক্ত সভার তারিখের পূর্ববর্তী বার মাসের মধ্যে পড়ে, অথবা

(ই) ধারা ৮১ এর অধীনে উক্ত সভা অনুষ্ঠানের সময়সীমা বর্ধিত করা হইলে, তদনুসারে সভা অনুষ্ঠানের তারিখের পূর্ববর্তী নয় মাস বা ক্ষেত্রমত বার মাসের মধ্যে পড়ে :

তবে শর্ত থাকে যে, ৮১ ধারার বিধান সাপেক্ষে, উপরোক্ত নয় বা বার মাস সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে রেজিষ্ট্রারের নিকট আবেদন পেশ করা হইলে, তিনি কোন বিশেষ কারণে উক্ত মেয়াদ অনধিক তিন মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবেন৷
(৩) কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব অথবা আয়-ব্যয়ের হিসাব এই আইনের বিধান মোতাবেক কোম্পানীর নিরীক্ষকগন কর্তৃক নিরীক্ষা করাইতে হইবে; এবং উহার সহিত নিরীক্ষকের নিরীক্ষা প্রতিবেদন সংযোজন করিতে হইবে অথবা উহাদের পাদদেশে উক্ত প্রতিবেদনের উল্লেখ করিতে হইবে এবং কোম্পানীর সাধারণ সভায় উক্ত প্রতিবেদন পাঠ করা হইবে ও কোম্পানীর যে কোন সদস্যের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে৷

(৪) উপরোক্ত হিসাব যে সময় সম্পর্কিত সেই সময়কে এই আইনে ‘অর্থ বত্সর’ বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে এবং তাহা এক পঞ্জিকা বৎসর অপেক্ষা কম বা বেশী হইতে পারে তবে পনের মাসের বেশী হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, রেজিষ্ট্রার যদি তজ্জন্য বিশেষ অনুমতি প্রদান করেন তাহা হইলে উহা আঠার মাস পর্যন্ত বর্ধিত হইতে পারে৷

(৫) যকি কোন ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক হইয়া এই ধারার বিধানাবলী পালনের ক্ষেত্রে সকল যুক্তিসংগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হন তাহা হইলে, তিনি এইরূপ প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৬) কোম্পানীর লাভ-ক্ষতি বা, ক্ষেত্রমত, আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ উহার ব্যালেন্স শীট এর অনুলিপি এবং পরিচালক পর্যদের প্রতিবেদন, কোম্পানীর সদস্যগণ এবং ঐগুলি পরিদর্শনের অধিকারী অন্যান্য ব্যক্তিগণের পরিদর্শনের জন্য সাধারণ সভার পূর্বে অন্তত: চৌদ্দ দিন সময়ব্যাপী, কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে উন্মুক্ত রাখিতে হইবে৷

ডব্যালান্স শীট, বিবরণী, খাতাপত্র এবং হিসাব

পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন

১৮৪৷ (১) কোম্পানী সাধারণ সভায় উপস্থাপিত প্রত্যেক ব্যালেন্স শীটের সহিত নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি পরিচালক পরিষদের একটি প্রতিবেদন সংযোজিত থাকিবে, যথা :-

(ক) কোম্পানীর বিষয়াদির অবস্থা;

(খ) যদি পরিচালক পরিষদ কোন অর্থ কোম্পানীর সংরক্ষিগত তহবিলে রাখিবার জন্য উক্ত ব্যালেন্স শীটে প্রস্তাব করে, তবে সেই অর্থের পরিমাণ;

(গ) যদি কোন অর্থ লভ্যাংশরূপে দেওয়া উচিত বলিয়া পরিচালক পরিষদ সুপারিশ করে, তবে উক্ত লভ্যাংশের পরিমাণ:

(ঘ) উক্ত ব্যালেন্স শীট যে অর্থ-বত্সর সম্পর্কিত সেই বত্সরের শেষ তারিখ এবং প্রতিবেদন তারিখের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থাকে প্রভাবান্বিত করে এইরূপ গুরুত্বপুর্ণ পরিবর্তন এবং অংগীকার, যদি কিছু ঘটিয়া থাকে৷

(২) সংশ্লিষ্ঠ অর্থ-বত্সরে নিম্নবর্ণিত কোন পরিবর্তন ঘটিয়া থাকিলে সেই সম্পর্কে পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদনে ততখানি বর্ণনা থাকিতে হইবে যতখানি বর্ণনা সদস্যগণ কর্তৃক কোম্পানীর বিষয়াদির অবস্থা উপলব্ধির জন্য প্রয়োজন হয়, যথা :-

(ক) কোম্পানীর কার্যাবলীর ধরণে সংঘটিত পরিবর্তন;

(খ) কোম্পানীর অধীনস্থ কোম্পানী বা এইরূপ কোম্পানীসমূহের দ্বারা পরিচালিত কার্যাবলীর ধরণে সংঘটিত পরিবর্তন;

(গ) সাধারণতঃ কোম্পানীর স্বার্থ আছে এইরূপ কার্যাবলীতে সংঘটিত পরিবর্তন৷

(৩) নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে বিধৃত প্রত্যেক সংরক্ষিগত মন্তব্য, বিশেষণযুক্ত মন্তব্য অথবা প্রতিকূল মন্তব্য সম্পর্কে পরিচালক পরিষদ উহার প্রতিবেদনে, পরিপূর্ণ তথ্য ও ব্যাখ্যা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে৷

(৪) পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন বা উহার প্রত্যেক সংযোজনী পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে, যদি তিনি পরিষদ হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন, এবং যদি তিনি অনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হন, তবে ১৮৯ ধারা (১) এবং (২) উপ-ধারায় বিধানবলে কোম্পানীর ব্যালেন্স শীট ও ক্ষেত্রমত আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বাক্ষর করিতে যতজন পরিচালকের প্রয়োজন হয় ততজন পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে৷

ব্যালান্স শীট, বিবরণী, খাতাপত্র এবং হিসাব

ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবের ছক ও বিষয়বস্তু

১৮৫৷ (১) কোম্পানীর ব্যালেন্স শীটে উহার সম্পত্তি, পরিসম্পদ, মূলধন এবং দায়দেনার একটি সংক্ষিপ্তসারসহ সংশ্লিষ্ট অর্থ-বৎসরের শেষে ঐ সবের যে অবস্থা থাকে উহার একটি সঠিক, প্রকৃত এবং নিরপেক্ষ বর্ণনা দিতে হইবে; এবং উক্ত ব্যালান্স শীট ও লাভ-ক্ষতির হিসাব তফসিল-১১ এর প্রথম খণ্ডে সন্নিবেশিত ছকে অথবা, অবস্থার প্রেক্ষিতে যতদূর সম্ভব উহার সদৃশ কোন ছকে কিংবা সরকার কর্তৃক সাধারণভাবে বা বিশেষভাবে অনুমোদিত অন্য কোন ছকে প্রণীত হইবে; এবং উক্ত ব্যালান্স শীট প্রস্তুত করিবার সময় যতদুর সম্ভব উক্ত খণ্ডের শেষে ‘টীকা’ শিরোনামে সাধারণ নির্দেশাবলী আছে তাহা যথাযথভাবে মানিয়া চলিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন বীমা বা ব্যাংক কোম্পানীর ক্ষেত্রে অথবা বিদ্যুৎ উত্পাদন বা সরবরাহকার্যে নিয়োজিত কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে অথবা যে সকল কোম্পানীর জন্য ব্যালান্স শীটের ছক উক্ত কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী আইনে বা আইনের অধীনে বিনির্দিষ্ট করা আছে সেই সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷

২) প্রত্যেক লাভ-ক্ষতির হিসাবে সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরের লাভ বা ক্ষতির একটি সঠিক ও নিরপেক্ষ বর্ণনা দিতে হইবে এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, তফসিল-১১ এর দ্বিতীয় খণ্ডের বিধানাবলীর যতটুকু প্রযোজ্য হয় ততটুকু অনুসারে উহা প্রস্তুত করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন বীমা বা ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে বা বিদ্যুৎ উত্পাদন ক্ষেত্রে বা সরবরাহ কার্যে নিয়োজিত কোন কোম্পানীর অথবা যে সকল কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাবের ফরম উক্ত কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণাকারী আইন বা আইনের অধীনে বিনির্দিষ্ট করা আছে সেই সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না৷

1[ (২ক) উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘‘জনস্বার্থ সংস্থা’’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর দায়িত্ব হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং ও অডিটিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসারে প্রস্ত্ততকৃত তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকদের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।

(২খ) জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার এরূপ কোন কোম্পানী কর্তৃক উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]

(৩) সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে কোন শ্রেণীর কোম্পানীকে জনস্বার্থে তফসিল-১১ এর কোন বিধান পালন হইতে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন তাহা হইলে সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা উক্ত অব্যাহতি প্রদান করিতে পারে, এবং এইরূপ অব্যাহতি শর্তহীনভাবে অথবা প্রজ্ঞাপনে বিনির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে প্রদান করা যাইবে৷

(৪) কোম্পানীর পরিচালক পরিষদের আবেদনে বা উহার সম্মতিক্রমে এবং কোম্পানীর অবস্থার সহিত উপযোগী করিয়া লওয়ার উদ্দেশ্যে, সরকার আদেশ দ্বারা উক্ত কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ব্যালান্স শীট বা লাভ-ক্ষতির হিসাবে যে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করিতে হয় সেই সমস্ত ব্যাপারে, এই আইনের অধীন আবশ্যকীয় বিষয়াবলী পরিবর্তন করিতে পারে৷

(৫) কোন কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব উহার বিষয়াদির অবস্থা সম্পর্কে সঠিক নিরপেক্ষ বর্ণনা প্রকাশ করে না বলিয়া গণ্য হইবে না, কেবলমাত্র এই কারণে যে, উহাতে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি প্রকাশিত হয় নাই; যথা :-

(ক) কোন বীমা কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এইরূপ কোন বিষয় যাহা Insurance Act, 1938 (IV of 1938) অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই;

(খ) কোন ব্যাংক কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এইরূপ কোন বিষয় যাহা ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সালের ১৪ নং আইন) অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই;

(গ) বিদ্যুৎ উৎপাদন বা সরবরাহ কার্যে নিয়োজিত কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এইরূপ কোন বিষয় যাহা Electricity Act, 1910 (IX of 1910) অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই;

(ঘ) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এইরূপ কোন বিষয় যাহা উক্ত আইন অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই;

(ঙ) সকল কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এমন কোন বিষয় যাহা তফসিল-১১ এর বিধানাবলী অনুযায়ী বা (৩) উপ-ধারার অধীনে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কিংবা (৪) উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী প্রকাশ করার প্রয়োজন নাই৷

(৬) প্রসংগের প্রয়োজনে ভিন্নরূপ না হইলে, এই ধারায় যেখানে ব্যালান্স শীট বা লাভ-ক্ষতির হিসাবের উল্রেখ করা হইয়াছে সেখানে উক্ত ব্যালান্স শীটে বা হিসাবে প্রদত্ত এমন সব টীকাও এবং উহার সহিত সংযুক্ত এমন সব দলিলও উল্লেখিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যে টীকা বা দলিলে এই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বা অনুমোদিত তথ্য টীকা বা দলিলের আকারে প্রদর্শন করিতে হইবে৷

(৭) ধারা ১৮১ এর উপ-ধারা (৭) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তি যদি কোম্পানীর সাধারণ সভায় উপস্থাপিত কোন হিসাবের ব্যাপারে এই ধারা এবং এই আইনের অন্যান্য বিধানাবলী পালন করাইবার জন্য যুক্তিসংগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি এইরূপ প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে এইরূপ কোন অপরাধের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে না, যদি না তিনি উক্ত অপরাধ ইচ্ছাকৃতভাবে করিয়া থাকেন৷

ডব্যালান্স শীট, বিবরণী, খাতাপত্র এবং হিসাব

নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ব্যালান্স শীটে উহার অধীনস্থ কোম্পানীর কতিপয় তথ্য অন্ত্মর্ভুক্তিকরণ

১৮৬৷ (১) অর্থ বত্সরের শেষে কোন নিয়ন্ত্রণকারী এক বা একাধিক অধীনস্থ কোম্পানী থাকিলে, এইরূপ নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের সহিত উক্ত প্রতিটি অধীনস্থ কোম্পানী সম্পর্কে নিম্নবর্ণিত দলিলপত্র সংযুক্ত করিতে হইবে :-

(ক) অধীনস্থ কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের অনুলিপি;

(খ) উহার লাভক্ষতির হিসাবের অনুলিপি;

(গ) উহার পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদনের অনুলিপি;

(ঘ) উহার নিরীক্ষকগনগণের প্রতিবেদনের অনুলিপি;

(ঙ) অধীনস্থ কোম্পানীতে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর স্বার্থের বিবরণ, যাহা উপ-ধারা (৩) অনুসারে হইবে;

(চ) উপ-ধারা (৮) এ উল্লেখিত বিবরণ, যদি থাকে; এবং

(ছ) উপ-ধরা (৯) এ উল্লেখিত প্রতিবেদন, যদি থাকে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর (ক) দফায় বর্ণিত ব্যালান্স শীট এই আইনের নির্দেশাবলী অনুসারে প্রণীত হইবে এবং উহাতে অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সরের এমন শেষ তারিখ পর্যন্ত বর্ণনা থাকিবে যে তারিখ নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের তারিখের অব্যবহিত পূর্বের তারিখ হয়৷

(৩) উপ-ধারা (২)- েত বর্ণিত অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সরের মেয়াদ এর জন্য উপ-ধারা (১) এর (খ), (গ) এবং (ঘ) দফায় উল্লেখিত লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং পরিচালকমণ্ডলী ও নিরীক্ষকগনগণের প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই আইনের ঐ সকল বিধান অনুসরণ করিতে হইবে যাহা যে কোন কোম্পানীর লাভক্ষতির হিসাব এবং উক্ত প্রতিবেদনগুলির ক্ষেত্রে অনুসরণ করিতে হয়৷

(৪) অধীনস্থ কোম্পানীর পূর্বোক্ত অর্থ-বত্সর এমন কোন তারিখে শেষ হইবে না যাহা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সর শেষ হওয়ার তারিখের একশত আশি দিন পূর্বে হয়৷

(৫) যে ক্ষেত্রে কোন অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ-বত্সরের মেয়াদ উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ-বত্সরের মেয়াদ অপেক্ষা স্বল্পতর হয়, সেক্ষেত্রে (২), (৩) এবং (৪) উপ-ধারায় বর্ণিত উক্ত অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সর বলিতে উহার এমন দুই বা ততোধিক অর্থ বত্সর বুঝাইবে যাহাদের মেয়াদ সর্ব সাকুল্যে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সরের মেয়াদ অপেক্ষা কম হইবে না৷

(৬) উপ-ধারা (১) এর (ঙ) দফায় উল্লেখিত বিবরণে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ করিতে হইবে :-

(ক) অধীনস্থ কোম্পানীতে উহার অর্থ-বত্সরের শেষে অথবা একাধিক অর্থ-বত্সরের ক্ষেত্রে সর্বশেষ বত্সরের শেষে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর বিবদ্যমান স্বার্থের পরিধি;

(খ) অধীনস্থ কোম্পানীর লাভ বা ক্ষতি, যাহা প্রযোজ্য, বাদ দেওয়ার পর উহার সর্বমোট নীট ক্ষতিতে বা মুনাফায় নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর সদস্যগণের যে অংশ আছে অথচ যাহা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর হিসাবে বর্ণিত হয় নাই তাহার বর্ণনা,-

(অ) অধীনস্থ কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উক্ত অর্থ-বত্সরের বা অর্থ বত্সরসমূহের জন্য;

(আ) যখন হইতে উহা অধীনস্থ কোম্পানী হইয়াছে সেই সময়ের পরবর্তী অর্থ বত্সরগুলির জন্য;

(গ) অধীনস্থ কোম্পানীর লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ, যাহা প্রযোজ্য বাদ দেওয়ার পর উহার সর্বমোট নীট ক্ষতি বা মুনাফার যতটুকু বর্ণিত হইয়াছে ততটুকুর বর্ণনা-

(অ) অধীনস্থ কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উক্ত অর্থ-বত্সর বা বত্সরগুলির জন্য; এবং

(আ) যখন হইতে অধীনস্থ কোম্পানী হইয়াছে সেই সময়ের পরবর্তী অর্থ-বত্সরগুলির জন্য৷

(৭) উপ-ধারা (৬) এর (খ) ও (গ) দফাসমূহ কেবলমাত্র অধীনস্থ কোম্পানীর সেই লাভক্ষতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে যাহা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর হিসাবে যথাযথভাবে রাজস্ব লাভ-ক্ষতি বলিয়া গণ্য হইতে পারে; এবং উক্ত অধীনস্থ কোম্পানীতে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর বা উহার অন্য কোন অধীনস্থ কোম্পানীর যে শেয়ার থাকে সেই শেয়ার বাবদ উহা অর্জনের পূর্ববর্তী সময়ের যে লাভ-ক্ষতি ছিল তাহা উক্ত দফাদ্বয় বা নিয়ন্ত্রণকারীর কোম্পানীর অন্য কোন উদ্দেশ্য হিসাব করা হইবে না, তবে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উহা হিসাব করা যাইবে-

(ক) যেক্ষেত্রে উক্ত নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী নিজেই, অন্য কোন সংস্থার অধীনস্থ, এবং

(খ) যেক্ষেত্রে ঐ শেয়ারগুলি উক্ত অন্য সংস্থা বা উহার অন্য কোন অধীনস্থ কোম্পানী হইতে অর্জিত হইয়াছে৷

ব্যাখ্যা : কোন লাভ বা ক্ষতি উল্লেখিত “পূর্ববর্তী সময়ের” লাভ বা ক্ষতি হিসাবে গণ্য করা হইবে কিনা তাহা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে, অধীনস্থ কোম্পানীর কোন অর্থ বত্সরের লাভ ক্ষতিকে যদি প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত সময়কালের জন্য যুক্তিসংগত নির্ভুলতার সহিত বিভাজন করিয়া দেখান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে উক্ত লাভ-ক্ষতি ঐ বত্সরব্যাপী প্রতিদিন উপচিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উক্ত সময়কালের লাভ-ক্ষতি দেখানো হইবে৷

(৮) যেক্ষেত্রে (৫) উপ-ধারায় বর্ণিত কোন অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সরের বা বত্সর সমূহের সহিত নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সরের সহিত মিল না হয়, সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের সহিত নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের একটি বিবরণ সংযোজিত করিতে হইবে, যথা :-

(ক) অধীনস্থ কোম্পানীর উক্ত অর্থ বত্সর বা অর্থ বত্সরসমূহের সর্বশেষ বত্সরের শেষাবধি এবং নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সরের শেষাবধি সময়ের মধ্যে উক্ত অধীনস্থ কোম্পানীতে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর স্বার্থের কোন পরিবর্তন হইয়াছে কি না এবং যদি হইয়া থাকে তবে কি পরিবর্তন হইয়াছে;

(খ) অধীনস্থ কোম্পানী উক্ত অর্থ বত্সর বা বত্সরসমূহের সর্বশেষ বত্সরের শেষাবধি এবং নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সরের শেষাবধি সময়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে যে সকল গুরুত্বপুর্ণ পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে উহাদের বিস্ত্মারিত বিবরণ :

(অ) অধীনস্থ কোম্পানীর স্থায়ী পরিসম্পদ;

(আ) ইহার বিনিয়োগসমূহ;

(ই) তত্কর্তৃক প্রদত্ত ঋণের অর্থ;

(ঈ) চলতি দায়-দেনা পরিশোধ করা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য তত্কর্তৃক গৃহীত ঋণের অর্থ৷

(৯) উপ-ধারা (৭) এ বিনির্দিষ্ট কোন বিষয়ে যদি নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর পরিচালক পরিষদ কোন কারণবশতঃ কোন তথ্য সংগ্রহ করিতে অসমর্থ হয়, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে উক্ত কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের সহিত একটি লিখিত প্রতিবেদন সংযোজিত করিতে হইবে৷

(১০) উপ-ধারা (১) এর (ঙ), (চ) এবং (ছ) দফায় বর্ণিত দলিলপত্র সেই সকল ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে যে সকল ব্যক্তি কর্তৃক নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ব্যালান্স শীট স্বাক্ষর করিতে হয়৷

(১১) কোন নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর পরিচালক পরিষদের আবেদনে অথবা উহার সম্মতিক্রমে সরকার এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, এই ধারার বিধানবালী উহার অধীনস্থ কোম্পানীর কোন ব্যাপারে প্রযোজ্য হইবে না অথবা এই ধারার ততটুকু প্রযোজ্য হইবে যতটুকু উক্ত নির্দেশে বিনির্দিষ্ট থাকে৷

(১২) যদি ১৮১ ধারার (৭) উপ-ধারায় উল্লেখিত কোন ব্যক্তি এই ধারার বিধানাবলী পালনের ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীনে কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত কার্যধারায় ইহা একটি প্রমাণযোগ্য কৈফিয়ত্ হইবে যে, এই ধারার বিধানাবলীর প্রতি লক্ষ রাখার জন্য একজন যোগ্য এবং আস্থাভাজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হইয়াছিল এবং তিনি উক্ত দায়িত্ব সম্পাদন করার মত অবস্থায় ছিলেন :

আরও শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকেই এইরূপ কোন অপরাধের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে না, যদি না তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত অপরাধ করিয়া থাকেন৷

নিয়ন্ত্রণকারী ও অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ-বত্সর

১৮৭৷ (১) যেক্ষেত্রে সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থবত্সর যাহাতে উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থবত্সরের সহিত একসংগে শেষ হয় সেই জন্য উক্ত নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর বা উহার অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সর বর্ধিত করা বাঞ্ছনীয় এবং তদুদ্দেশ্যে কোন সাধারণ সভায় সংশ্লিষ্ঠ হিসাবসমূহ উপস্থাপন স্থগিত রাখার প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে যে কোম্পানীর অর্থ বত্সর বর্ধিত করিতে হইবে সেই কোম্পানীর পরিচালক পরিষদের আবেদনে অথবা উহার সম্মতিক্রমে সরকার, এই আইনে বা আপাতঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের পরিপন্থী কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত কোম্পানীর ক্ষেত্রে উক্ত নির্দেশে বিনির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে সাধারণ সভার নিকট উহার হিসাব উপস্থাপন, বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান অথবা বার্ষিক বিবরণী উপস্থাপন করার প্রয়োজন হইবে না৷

(২) এই আইন প্রবর্তনের তারিখে অথবা উহা প্রবর্তনের পরে যে তারিখে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী এবং উহার অধিনস্থ কোম্পানীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় সেই তারিখে যদি দেখা যায় যে, উক্ত কোম্পানীদ্বয়ের অর্থ বত্সর সমাপ্তির তারিখদ্বয়ের ব্যবধান ছয় মাসেরও অধিক, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীদ্বয়ের যে কোনটির পরিচালক পরিষদ আবেদন করিলে এবং উক্ত ব্যবধান কমানোর প্রয়োজন থাকিলে, সরকার উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগক্রমে ইহা নিশ্চিত করিবে যে, অধীনস্থ কোম্পানীর অর্থ বত্সর সমাপ্তি

তারিখটি যেন নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অর্থ বত্সরের সমাপ্তির তারিখের পূর্ববর্তী ছয় মাসের মধ্যে কোন একটি যথাযথ তারিখে হয়৷

নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর প্রতিনিধি ও সদস্যগণের অধিকার

১৮৮৷ (১) নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী উহার সিদ্ধান্ত দ্বারা উহার যে কোন অধীনস্থ কোম্পানীর হিসাব-বহি পরিদর্শন করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্তে নাম উল্লেখকৃত প্রতিনিধিগণকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ যে কোন অধীনস্থ কোম্পানীর হিসাব-বহি উহার কার্যাবলী চলাকালীন যে কোন সময়ে ঐ সকল প্রতিনিধির পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখিতে হইবে৷

(২) ধারা ১৯৫ এর অধীনে কোন কোম্পানীর সদস্যগণ যে অধিকার প্রয়োগ করিতে পারেন, এই ধারার উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ, অধীনস্থ কোম্পানীর ব্যাপারে, সেই একই অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন, যেন শুধু তাহারাই উক্ত অধীনস্থ কোম্পানীর সদস্য৷

ব্যালান্স শীট এবং লাভ-তগতির হিসাব প্রমাণীকরণ (authentication)

১৮৯৷ (১) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, প্রত্যেক কোম্পানীর ব্যালান্স শীট, এবং লাভ-ক্ষতির অথবা আয়-ব্যয়ের হিসাব, পরিচালক পরিষদের পক্ষে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে, যথা :-

(ক) ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, ম্যানেজিং এজেন্ট, যদি থাকেন এবং যদি কোম্পানীর তিন জনের অধিক পরিচালক থাকেন তবে তাহাদের মধ্য হইতে অন্তত তিন জন অথবা যদি তিন জনের অধিক পরিচালক না থাকেন, তাহা হইলে সকল পরিচালক;

(খ) অন্য যে কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার বা সচিব, যদি থাকেন, এবং ইহা ছাড়াও কোম্পানীর অনুন্য দুইজন পরিচালক, যাহাদের মধ্যে একজন হইবেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, যদি থাকেন৷

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী যতজন পরিচালকের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয় ততজন পরিচালক কোন সময় বাংলাদেশে অবস্থান না করিলে, ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতি বা আয়-ব্যয়ের হিসাব বাংলাদেশে অবস্থানকারী সকল পরিচালক কর্তৃক, এমনকি একজন হইলেও তত্কর্তৃক, স্বাক্ষরিত হইবে; তবে এইরূপ ক্ষেত্রে ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতি বা আয়-ব্যয়ের হিসাবের সহিত উপ-ধারা (১) এর বিধান পালন না করার কারণ ব্যাখ্যা করিয়া উক্ত সকল পরিচালক বা একজন পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি সংযুক্ত করিতে হইবে৷

(৩) পরিচালক পরিষদের পক্ষ হইতে ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির বা আয়-ব্যয়ের হিসাব এই ধারার বিধানাবলী অনুযায়ী স্বাক্ষরিত হওয়ার পূর্বে এবং ঐগুলির উপর নিরীক্ষকগনগণের প্রতিবেদন প্রদানের উদ্দেশ্যে তাহাদের নিকট পেশ করার পূর্বে ঐগুলি পরিচালক পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে৷

(৪) উপ-ধারা (১) এবং (২) অনুযায়ী যে ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির বা আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বাক্ষরিত হওয়া প্রয়োজন তাহা তদনুযায়ী স্বাক্ষরিত হওয়া ব্যতিরেকেই যদি ইস্যু, প্রচার বা প্রকাশ করা হয়, অথবা ১৮৬ ধারা অনুসারে ব্যালান্স শীটের সহিত ক্ষেত্র বিশেষে যে লাভ-ক্ষতির হিসাব বা হিসাবপত্র বা প্রতিবেদন বা বিবৃতি, অথবা ১৮৫ ধারায় উল্লেখিত যে নিরীক্ষা-প্রতিবেদন এবং পরিচালক পরিষদের প্রতিবেদন সংযোজিত করিতে হয়, তাহা সংযোজিত না করিয়া যদি কোন ব্যালান্স শীটের অনুলিপি ইস্যু, প্রচার বা প্রকাশ করা হয়, অথবা এই ধারার অন্যান্য বিধান পালনে ব্যর্থতা ঘটে, তাহা হইলে কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ত্রম্্নটির বা ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনি, অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে অথবা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

ব্যালান্স শীটের অনুলিপি ইত্যাদি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল

১৯০৷ (১) কোন কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতি বা আয়-ব্যয়ের হিসাব উহার বার্ষিক সাধারণ সভায় যে তারিখে উপস্থাপিত হয় সেই তারিখ হইতে ত্রিশদিনের মধ্যে, অথবা যেক্ষেত্রে কোন বত্সরে কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় নাই, সেক্ষেত্রে এই আইনের বিধান অনুসারে যে সর্বশেষ তারিখে বা তত্পূর্বে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হওয়া বিধেয় ছিল সেই তারিখ হইতে পরবর্তী ত্রিশদিনের মধ্যে, কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ম্যানেজিং এজেন্ট, ম্যানেজার বা সচিব অথবা, যদি কোম্পানীতে এইরূপ পদধারী কেহ না থাকেন, তদবস্থায়, কোম্পানীর একজন পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতি বা আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং তত্সহ এই আইনের বিধান অনুযায়ী উক্ত ব্যালান্স শীট এবং হিসাবের সহিত যে সমস্ত দলিল সংযোজিত বা অন্ত্মর্ভুক্ত করিতে হয় ঐগুলির তিনটি করিয়া অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবের অনুলিপি পৃথক পৃথকভাবে রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হইবে :

আরও শর্ত থাকে যে, কোন পাবলিক কোম্পানীর অধীনস্থ নয় এইরূপ প্রাইভেট কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার কোন সদস্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাবের অনুলিপি পরিদর্শন বা উক্ত অনুলিপি সংগ্রহ করার অধিকারী হইবে না৷

2[(১ক) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর আর্থিক বিবরণী দাখিল করিতে পারিবে না, যদি না উক্ত আর্থিক বিবরণী প্রণয়নে একই আইনের ধারা ৪০ অনুসারে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত স্ট্যান্ডার্ডসসমূহ অনুসরণ করা হয়।]

(২) বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপিত ব্যালান্স শীট উক্ত সভায় অনুমোদিত না হইলে কিংবা কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হইলে, ব্যালান্স শীট অনুমোদিত না হওয়া বা ক্ষেত্রমত উক্ত সভা অনুষ্ঠিত না হওয়া সম্পর্কে একটি বিবৃতি এবং অনুমোদিত বা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণসমূহ উক্ত ব্যালান্স শীটের সহিত এবং উহার যে সমস্ত অনুলিপি রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে হয় সেই সমস্ত অনুলিপির সহিত সংযোজিত করিতে হইবে৷

(৩) যদি কোন কোম্পানী এই ধারার নির্দেশাবলী পালনে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী, উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন সময়ের প্রতিদিনের জন্য, অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তজ্জন্য ক্ষমতা বা অনুমতি প্রদান করেন তিনিও, একই অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

হিসাব এবং প্রতিবেদন সম্পর্কে সদস্য ইত্যাদির অধিকার

১৯১৷ (১) কোম্পানীর সাধারণ সভার নোটিশ পাইবার অধিকারী হউন বা না হউন, কোম্পানীর প্রত্যেক সদস্য এবং, যে সব ডিবেঞ্চার প্রদর্শন মাত্র উহার বাহককে উহাতে বিনির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করিতে হয় সে সব ডিবেঞ্চার ব্যতীত অন্যান্য ডিবেঞ্চারের প্রত্যেক ধারক, এবং ডিবেঞ্চার ধারকগণের প্রত্যেক ট্রাষ্টী এর নিকট উক্ত সভার নোটিশ পাইবার অধিকারী অন্যান্য সকল ব্যক্তির নিকট, কোম্পানীর লাভ-ক্ষতির হিসাব বা ক্ষেত্রমত উহার আয়-ব্যয়ের হিসাব, নিরীক্ষকগনগণের প্রতিবেদন এবং অন্যান্য দলিল, যাহা আইনানুসারে ব্যালান্স শীটের সহিত সংযুক্ত বা উহাতে অন্ত্মর্ভুক্ত করিতে হয় ঐগুলিসহ যে ব্যালান্স শীট কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপন করিতে হইবে, সেই ব্যালান্স শীটের একটি অনুলিপি বিনামূল্যে সভার তারিখের অনুন্য চৌদ্দদিন পূর্বে প্রেরণ করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে,-

(ক) শেয়ার-মূলধনবিহীন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, এই উপ-ধারা অনুযায়ী এমন সদস্য বা ডিবেঞ্চারধারীর নিকট উপরোক্ত দলিলপত্রের কোন অনুলিপি প্রেরণের প্রয়োজন হইবে না, যিনি কোম্পানীর সাধারণ সভার নোটিশ পাইবার অধিকারী নহেন;

(খ) এই উপ-ধারা অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের নিকট উপরোক্ত দলিলপত্রের কোন অনুলিপি প্রেরণের প্রয়োজন হইবে না, যথা :-

(অ) কোম্পানীর এমন সদস্য বা ডিবেঞ্চারধারী, যিনি কোম্পানীর সাধারণ সভার নোটিশ পাইবার অধিকারী নহেন এবং যাহার ঠিকানা কোম্পানীর জানা নাই;

(আ) উক্ত নোটিশ পাওয়ার অধিকারী নহেন এইরূপ যৌথ শেয়ার-হোল্ডারগণ বা যৌথ ডিবেঞ্চার হোল্ডারগণের ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজন ব্যতীত অন্য সকল ধারকগণ;

(ই) শেয়ার বা ডিবেঞ্চারের যৌথ ধারকগণের মধ্যে কতিপয় ধারক উক্ত নোটিশ পাইবার অধিকারী এবং কতিপয় নোটিশ পাইবার অধিকারী নহেন এইরূপ ক্ষেত্রে, যাহারা নোটিশ পাইবার অধিকারী নহেন;

(গ) উপরোক্ত দলিলপত্রের অনুলিপি সভার তারিখ হইতে চৌদ্দদিনের কম সময়ের পূর্বে প্রেরণ করা সত্ত্বেও যদি তত্সম্পর্কে উক্ত সভায় ভোটদানের অধিকারী সদস্যগণ আপত্তি উত্থাপন না করেন, তাহা হইলে উক্ত নোটিশ যথাযথভাবে প্রেরণ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে

(২) কোম্পানীর যে কোন সদস্য বা ডিবেঞ্চারহোল্ডার কোম্পানীর ব্যালান্স শীটের অনুলিপি তাহার নিকট কোম্পানী কর্তৃক প্রেরণের মাধ্যমে পাওয়ার অধিকারী হউন বা না হউন, তিনি চাহিবা মাত্র তাহা কোম্পানীর নিকট হইতে বিনামূল্য পাওয়ার অধিকারী হইবেন; এবং যে ব্যক্তির নিকট হইতে কোম্পানী জমা হিসাবে কোন অর্থ গ্রহণ করিয়াছে তিনি যদি দশ টাকা ফিস প্রদানপূর্বক চাহিদাপত্র দেন তাহা হইলে তিনি কোম্পানীর শেষ ব্যালান্স শীটের অনুলিপি এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ও নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ ব্যালান্স শীটের সহিত যে সকল অন্যান্য দলিল আইনানুসারে সংযোজিত বা উহাতে অন্ত্মর্ভুক্ত করিতে হয় সেই প্রত্যেকটি দলিলের অনুলিপি পাওয়ার অধিকারী হইবেন, এবং উক্তরূপ চাহিদা করার ৭ দিনের মধ্যে তাহাকে ঐ সকল দলিল সরবরাহ করিতে হইবে৷

(৩) যদি কোন কোম্পানী (১) এবং (২) উপ-ধারা পালনের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী এবং কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, অনধিক পাঁচশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৪) যদি (২) উপ-ধারা অনুসারে কোন অনুলিপি পাইবার অধিকারী কোন ব্যক্তি উক্ত অনুলিপির চাহিদা পেশ করেন অথচ চাহিদা পেশ করার পর সাত দিনের মধ্যে তাহা সরবরাহ করিতে কোন কোম্পানী ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও, অনধিক পাঁচশত টাকা করিয়া অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, যদি না ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত ব্যক্তি পূর্বেই এইরূপ চাহিদা পেশ করিয়াছিলেন এবং তাহাকে উক্ত দলিলের অনুলিপি প্রদান করা হইয়াছিল; এইরূপ চাহিদা সময়মত পুরণ না করা হইলে দণ্ড প্রদান ছাড়াও আদালত কোম্পানীকে বা সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারিবে যে, চাহিদা পেশকৃত অনুলিপি সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিকে অবিলম্বে সরবরাহ করিতে হইবে৷

(৫) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে কোন প্রাইভেট কোম্পানীর নিকট উপস্থাপিত উহার ব্যালান্স শীটের ক্ষেত্রে (১) হইতে (৪) উপ-ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না; এবং এইরূপ ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির নিকট ব্যালান্স শীটের অনুলিপি প্রেরণ বা সরবরাহের ব্যাপারে তাহার যে অধিকার রহিয়াছে তাহা এবং উক্ত অধিকার বাস্ত্মবায়নের ক্ষেত্রে কোম্পানীর ব্যর্থতার ব্যাপারে যে দায়-দায়িত্ব রহিয়াছে তাহা এইরূপ হইবে যেন এই আইনে উক্ত অধিকার বা দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে কোন বিধান করা হয় নাই৷

ব্যাংক-কোম্পানী ও অন্যান্য কতিপয় কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিতব্য বিবৃতি

কতিপয় কোম্পানী ও সমিতি কর্তৃক তফসিল ১২-তে বর্ণিত ছকে বিবৃতি প্রকাশ

১৯২৷ (১) কোন কোম্পানী সীমিতদায় সম্পন্ন ব্যাংক বা বীমা কোম্পানী অথবা আমানত (deposit) সমিতি, ভবিষ্য-তহবিল (provident) সমিতি বা কল্যাণ সমিতি (benefit socieity) হইলে, উক্ত কোম্পানী উহার কার্যাবলী আরম্ভ করার পূর্বে এবং তত্পর যে যে বত্সর উহার কার্যাবলী চালু থাকে সেই বত্সরের ফেব্রম্্নয়ারী মাসের প্রথম সোমবার এবং আগষ্ট মাসের প্রথম সোমবার, তফসিল ১২-তে বিধৃত ছকে অথবা অবস্থার প্রেক্ষিতে যথাসম্ভব উহার সদৃশ কোন ছকে একটি বিবৃতি, অতঃপর এই ধারায় উক্ত বিবৃতি বলিয়া উল্লেখিত, প্রণয়ন করিবে৷

(২) কোম্পানীর সদস্যগণের সভায় উপস্থাপিত সর্বশেষ নিরীত্মিগত ব্যালান্স শীটের একটি অনুলিপি এবং উক্ত বিবৃতির একটি অনুলিপি এইরূপে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিতে হইবে যেন পরবর্তী সময়ের বিবৃতি প্রদর্শন না করা পর্যন্ত উহা কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে এবং উহার প্রত্যেক শাখা কার্যালয়ের বা যে স্থানে কোম্পানীর কার্যাবলী পরিচালিত হয় সে স্থানের সম্মুখস্থ কোন প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শিত অবস্থায় থাকে৷

(৩) কোম্পানীর প্রত্যেক সদস্য এবং প্রত্যেক পাওনাদার অনধিক পাঁচ টাকা ফিস প্রদান করিয়া উক্ত বিবৃতির অনুলিপি পাইবার অধিকারী হইবেন৷

(৪) কোন কোম্পানী এই ধারার বিধানাবলী পালনে ব্যর্থ হইলে, উক্ত ব্যর্থতা অব্যাহত থাকাকালীন সময়ে প্রতিদিনের জন্য, উক্ত কোম্পানী অনধিক একশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে; এবং উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি জ্ঞাতসারে ও ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী বা উহা অব্যাহত রাখেন তিনিও, একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
(৫) এই ধারা কোন জীবন-বীমা কোম্পানী বা ভবিষ্য-বীমা তহবিল সমিতির (Provident Insurance society) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যদি উহা Insurance Act, 1938 (IV of 1938) অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন বীমা সংক্রান্ত্ম আইনের বিধানাবলী, পরিবর্তনসহ বা পরিবর্তন ব্যতিরেকে, অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বার্ষিক বিবৃতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে উক্ত Act বা অন্য আইনের বিধানাবলী পালন করে৷

রেজিষ্ট্রার কর্তৃক তদন্ত

রেজিষ্ট্রার কর্তৃক তথ্য বা ব্যাখ্যা তলব করার ক্ষমতা

১৯৩৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিষ্ট্রারের নিকট কোন কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত কোন দলিল পাঠ করার পর অথবা কোম্পানীর কোন সদস্যের নিকট হইতে অনুরূপ কোন দলিলের ব্যাপারে লিখিত আপত্তি

পাইবার পর, রেজিষ্ট্রার যদি মনে করেন যে, অনুরূপ দলিলে যে বিষয়ে কোন তথ্য সন্নিবেশিত আছে বলিয়া বিবেচনা করা যায় সে বিষয়ের পূর্ণ বিবরণাদি যাহাতে উক্ত দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে সেই উদ্দেশ্যে কোন তথ্য বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত কোম্পানীকে উক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা লিখিতভাবে দাখিল করার জন্য কিংবা তাহার মতে প্রয়োজনীয় নথি, বহি বা কাগজপত্র উক্ত আদেশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ প্রাপ্তির পর, কোম্পানীর কর্মকর্তা ছিলেন বা আছেন এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে উক্ত আদেশে উল্লেখিত তথ্য বা ব্যাখ্যা তাহার সাধ্যমত প্রদান করা৷

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত কোন ব্যক্তি যদি উক্ত উপ-ধারা অনুসারে কোন তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তাহা হইলে তিনি প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং, রেজিষ্ট্রারের আবেদনক্রমে, আদালত কোম্পানীর প্রতি নোটিশ জারী করিয়া রেজিষ্ট্রারের তদন্তের জন্য যে সব দলিল যুক্তিসংগতভাবে প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করে সেই সব দলিল রেজিষ্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং আদালত উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে রেজিষ্ট্রারকে উক্ত দলিল পরিদর্শনের অনুমতি দিতে পারিবে৷

(৪) রেজিষ্ট্রার পূর্বোক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা দলিল পাইবার পর উহা তাহার নিকট দাখিলকৃত দলিলের সহিত সংযোজিত করিতে পারেন এবং এইরূপ সংযোজিত যে কোন দলিল পরিদর্শন করার এবং উহার অনুলিপি পাওয়ার ক্ষেত্রে সেই একই বিধান প্রযোজ্য হইবে, যাহা মূল দলিল পরিদর্শন করা ও উহার অনুলিপি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷

(৫) যদি পূর্বোক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা অতিরিক্ত দলিল রেজিষ্ট্রার বা আদালত কর্তৃক বিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলিল করা না হয়, অথবা যদি উক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা অতিরিক্ত দলিল দাখিল করা হয় এবং উহা পাঠ করার পর রেজিষ্ট্রার মনে করেন যে, মূল দলিলে অসন্ত্মোষজনক পরিস্থিতি প্রকাশ পাইয়াছে অথবা উহাতে যে বিষয়াদি সন্নিবেশিত আছে বলিয়া বিবেচনা করা যায় সেই সম্পর্কে পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও সঠিক বিবরণ প্রকাশ পায় নাই, তাহা হইলে রেজিষ্ট্রার তত্কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ অনুসারে উক্ত দলিলসমূহ সংশোধন করিবার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারেন অথবা বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করিতে পারেন৷

(৬) কোম্পানীর কোন সদস্য, প্রদায়ক, পাওনাদার অথবা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ঠ অন্য কোন ব্যক্তি রেজিষ্ট্রারের নিকট বাস্তব তথ্যাদি পেশ করতঃ যদি এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, কোম্পানী উহার সদস্য, পাওনাদার বা কোম্পানীর সংগে লেনদেনকারী ব্যক্তিগণের সহিত প্রতারণা করিয়া অথবা প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে উহার কার্যাবলী পরিচালনা করিতেছে কিংবা উক্ত কোম্পানীর বিষয়াদি এই আইনের বিধান অনুসারে পরিচালনা করা হইতেছে না, তাহা হইলে তিনি, উক্ত কোম্পানীকে শুনানীর সুযোগ দান করার পর লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত কোম্পানীর নিকট হইতে আদেশে উল্লেখিত বিষয়ে তথ্য বা ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবেন বা উক্ত আদেশে বিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন দলিল উপস্থাপন করিবার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে উহার ক্ষেত্রে (২), (৩) এবং (৫) উপ-ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷

(৭) তদন্তের পর যদি রেজিষ্ট্রার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি (৬) উপ-ধারার অধীনে যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন তাহা মিথ্যা, তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক, তাহা হইলে তিনি উক্ত অভিযোগকারীর পরিচয় কোম্পানীর নিকট প্রকাশ করিবেন৷

(৮) এই আইন অনুযায়ী লিকুইডেটর কর্তৃক যে সকল দলিল দাখিল করিতে হয় সেই সকল দলিলের ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধান, প্রয়োজনীয় রদবদলসহ, প্রযোজ্য হইবে৷

রেজিষ্ট্রার কর্তৃক দলিলপত্র আটক

১৯৪৷ (১) যে ক্ষেত্রে কোন তথ্যের ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রারের বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন কোম্পানীর, বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থার, বা উক্ত কোম্পানী বা সংস্থা সংক্রান্ত্ম কোন বহি, নথি বা অন্যান্য কাগজপত্র, অথবা উক্ত কোম্পানীর বা সংস্থার ম্যানেজিং এজেন্ট বা ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজার, অথবা উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজারের কোন সহযোগীর কোন নথি বা কাগজপত্র বিনষ্ট, বিকৃত, পরিবর্তিত, মিথ্যা প্রতিপন্ন (falsify) কিংবা গোপন করা হইতে পারে, সেই ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রার উক্ত নথি, বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র আটক করার জন্য এখ্তিয়ার সম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷

(২) উক্ত আবেদন বিবেচনা এবং প্রয়োজন হইলে রেজিষ্ট্রারের শুনানী গ্রহণের পর ম্যাজিষ্ট্রেট তাহার আদেশ দ্বারা রেজিষ্ট্রারকে নিম্নরূপ ক্ষমতা প্রদান করিতে পারেন, যথা :-

(ক) যে স্থান বা স্থানসমূহে ঐ সকল নথি, বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র রাখা হইয়াছে সেই স্থান বা স্থানসমূহে প্রয়োজনীয় সাহায্য লইয়া প্রবেশ করা;

(খ) উক্ত আদেশে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ঐ স্থান বা স্থানসমূহ অনুসন্ধান করা;

(গ) রেজিষ্ট্রারের বিবেচনা মতে প্রয়োজনীয় নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র আটক করা৷

(৩) এই ধারার অধীনে আটককৃত নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র যে কোম্পানী, সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক, ম্যানেজার, সহযোগী বা অন্য যে ব্যক্তির হাওলা বা দখল হইতে আটক করা হইয়াছিল, উহার বা তাহার নিকট রেজিষ্ট্রার ঐগুলি যথাশীঘ্র সম্ভব, তবে কোন অবস্থাতেই আটকের ত্রিশ দিনের পরে নহে, ফেরত দিবেন এবং অনুরূপ ফেরত প্রদান সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র ফেরত প্রদানের পূর্বে রেজিষ্ট্রার ঐগুলির অনুলিপি বা উদ্ধৃতাংশ গ্রহণ করিতে পারিবেন অথবা উহাদের উপর অথবা উহাদের কোন অংশ সনাক্তকরণ চিহ্ন স্থাপন করিতে কিংবা তিনি যেভাবে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচনা করিবেন সেইভাবে ঐগুলি ব্যবহার করিতে পারিবেন৷

(৪) এই ধারার অধীনে প্রত্যেক অনুসন্ধান বা আটক Code of Criminal Procedure 1898 (Act V of 1898) অনুসারে তবে এই ধারার বিধান সাপেক্ষে সম্পন্ন করিতে হইবে৷

পরিদর্শন ও নিরীতগা

পরিদর্শকগণ কর্তৃক গোপনীয় বিষয়াদির তদন্ত

১৯৫৷ নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সরকার কোন কোম্পানীর বিষয়াদির তদন্ত করিবার এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তত্সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করিবার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন এক বা একাধিক পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে, যথা :-

(ক) শেয়ার-মূলধন-বিশিষ্ট কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ইস্যুকৃত শেয়ার-মূলধনের অনুন্য এক-দশমাংশের সমপরিমাণ শেয়ারধারী সদস্যগণের আবেদনক্রমে;

(খ) শেয়ার-মূলধনবিহীন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার মোট সদস্যসংখ্যার অনুন্য এক-পঞ্চমাংশ সদস্যের আবেদনক্রমে;

(গ) অন্য কোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে, ধারা ১৯৩(৫) এর অধীনে রেজিষ্ট্রার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে৷

পরিদর্শনের জন্য আবেদন স্বাক্ষ-প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা

১৯৬৷ ধারা ১৯৫-এর অধীনে সরকার কর্তৃক পরিদর্শক নিয়োগের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে উক্ত ধারার অধীনে যে কোন আবেদন পর্যাপ্ত স্বাক্ষ প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে; এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকার উহার বিবেচনামত উপযুক্ত স্বাক্ষ তলব করিতে পারিবে এবং কোন পরিদর্শক নিয়োগদানের পূর্বে আবেদনকারীগণকে তদন্তের ব্যয় নির্বাহের জন্য জামানত প্রদান করার নির্দেশও দিতে পারিবে৷

বহিসমূহের পরিদর্শন এবং কর্মকর্তাগণের স্বাক্ষ গ্রহণ

১৯৭৷ ধারা ১৯৫-এর অধীনে সরকারের যে ক্ষমতা রহিয়াছে তাহা ত্মগুন্ন না করিয়া এতদ্বারা বিধান করা যাইতেছে যে, সরকার-

(ক) যেরূপ নির্দেশ দান করিবে সেইরূপে কোন কোম্পানীর বিষয়াদি তদন্তের জন্য এবং তদন্তের প্রতিবেদন প্রদানের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ করিবে, যদি কোম্পানী উহার বিশেষ সিদ্ধান্তের দ্বারা অথবা আদালত উহার আদেশ দ্বারা ঘোষণা করে যে, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিদর্শক দ্বারা কোম্পানীর বিষয়াদির তদন্ত হওয়া উচিত্; এবং

(খ) অনুরূপ এক বা একাধিক পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে, যদি উহার বিবেচনায় কোম্পানীর বিরাজমান অবস্থা এবং কোন ইংগিত বহন করে যে-

(অ) উক্ত কোম্পানীর কার্যাবলী উহার পাওনাদার বা কোন সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে, অথবা প্রকারান্ত্মরে কোন প্রতারণামূলক বা অবৈধ উদ্দেশ্যে, কিংবা উহার সদস্যগণের উপর জুলুম হয় এইরূপে পরিচালিত হইতেছে অথবা উক্ত কোম্পানী কোন প্রতারণামূলক বা অবৈধ উদ্দেশ্যে গঠিত হইয়াছে; অথবা

(আ) কোম্পানী গঠনে বা উহার বিষয়াদির ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিগণ উক্ত গঠন বা ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কোম্পানী বা উহার যে কোন, সদস্যের প্রতি প্রতারণা, বৈধ কার্যকলাপ অবৈধভাবে সম্পাদন (misfeasance) বা অন্য কোন অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত্ম হইয়াছে; অথবা

(ই) কোম্পানীর সদস্যগণকে উহার বিষয়াদি সম্পর্কিত এমন তথ্য প্রদান করা হয় নাই যাহা তাহারা যুক্তি সংগতভাবে পাইবার প্রত্যাশা করিতে পারিতেন৷

ফার্ম, সংঘ বা নিগমিত সংস্থাকে পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ নিষিদ্ধ

১৯৮৷ ধারা ১৯৫ বা ১৯৭ এর অধীনে কোন ফার্ম, নিগমিত সংস্থা বা অন্য কোন সংঘকে পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ করা যাইবে না৷

সংশ্লিষ্ঠ কোম্পানী বা ম্যানেজিং এজেন্ট ইত্যাদির কাজকর্ম তদন্তের ক্ষমতা

১৯৯৷ (১) যদি ধারা ১৯৫ বা ১৯৭ ধারার অধীনে কোন কোম্পানীর বিষয়াদি তদন্ত করার জন্য নিযুক্ত পরিদর্শক তাহার তদন্ত পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন যে, নিম্নলিখিত সংস্থা বা ব্যক্তির বিষয়াদিরও তদন্ত করিতে হইবে, যথা :-

(ক) এইরূপ অন্য কোন নিগমিত সংস্থা যাহা সংশ্লিষ্ঠ সময়ে উক্ত কোম্পানীর অধীনস্থ বা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী ছিল বা রহিয়াছে অথবা উহার নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানীর অধীনস্থ ছিল বা রহিয়াছে অথবা উহার অধীনস্থ কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী ছিল বা রহিয়াছে; অথবা

(খ) অন্য কোন নিগমিত সংস্থা যাহার ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ঠ সময়ে নিম্নলিখিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পন্ন হইতেছে বা হইয়াছে, যথা :-

(অ) উক্ত নিগমিত সংস্থার এমন ম্যানেজিং এজেন্ট বা ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজার যিনি সংশ্লিষ্ঠ সময়ে উক্ত কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট বা ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজার থাকেন বা ছিলেন; অথবা

(আ) এমন ব্যক্তি যিনি সংশ্লিষ্ঠ সময়ে ম্যানেজিং এজেন্টের একজন সহযোগী থাকেন বা ছিলেন; অথবা

(ই) এমন ব্যক্তি যাহার সহযোগী ছিলেন বা থাকেন উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট; অথবা

(গ) অন্য যে কোন নিগমিত সংস্থা যাহা সংশ্লিষ্ঠ সময়ে উক্ত কোম্পানী কর্তৃক পরিচালিত হয় বা হইয়াছে অথবা যাহার পরিচালক পরিষদ উক্ত কোম্পানীর মনোনীত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত হইয়াছে অথবা যাহা নিম্নলিখিতের নির্দেশ অনুসারে কাজ করিতে অভ্যস্ত্ম, যথা :-

(অ) উক্ত কোম্পানী; অথবা

(আ) উক্ত কোম্পানীর যে কোন পরিচালক, অথবা

(ই) অন্য এমন কোম্পানী যাহার পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত আছেন প্রথমোক্ত কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণাধীনে বা ব্যবস্থাপনাধীনে নিয়োজিত কর্মচারী বা মনোনীত ব্যক্তি; অথবা

(ঘ) এমন ব্যক্তি যিনি সংশ্লিষ্ঠ সময়ে উক্ত কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক অথবা ম্যানেজার অথবা অনুরূপ ম্যানেজিং এজেন্টের সহযোগী থাকেন বা ছিলেন,

তাহা হইলে, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, পরিদর্শক উক্ত পরিদর্শন করিতে পারিবেন এবং তিনি উক্ত নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক, ম্যানেজার অথবা ম্যানেজিং এজেন্টের সহযোগীর বিষয়াদি তদন্ত করিয়া তত্সম্পর্কে তাহার প্রতিবেদনে ততটুকু উল্লেখ করিবেন যতটুকু প্রথমোক্ত কোম্পানীর বিষয়াদি তদন্তের সহিত সম্পৃক্ত৷

(২) উপ-ধারা (১) এর (খ) দফার (আ) বা (ই) উপ-দফায় অথবা (গ) বা (ঘ) দফায় বর্ণিত ক্ষেত্রে, পরিদর্শক সরকারের পূর্ব অনুমোদন না লইয়া তাহার ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না :

তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীনে অনুমোদন প্রদানের পূর্বে সরকার এইরূপ অনুমোদন সম্পর্কে উক্ত বিধানসমূহে উল্লেখিত নিগমিত সংস্থা বা ব্যক্তির আপত্তি বা ব্যক্তব্য পেশ করার জন্য উহাকে বা তাহাকে যুক্তিসংগত সুযোগ দিবে৷

দলিল, স্বাক্ষ ইত্যাদি উপস্থাপন

২০০৷ (১) ধারা ১৯৯ এর অধীন তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্ত্মাধীন কোম্পানীর সকল কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মচারী ও প্রতিনিধি এবং যদি কোম্পানীটি কোন ম্যানেজিং-এজেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয় বা হইয়া থাকে তবে ম্যানেজিং এজেন্টের সকল কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মচারী ও প্রতিনিধি, এবং যদি উক্ত তদন্ত অন্য কোন নিগমিত সংস্থার অথবা ম্যানেজিং এজেন্টের অথবা কোন ম্যানেজিং এজেন্টের সহযোগীর বিষয়াদি সম্পর্কিত হয়, তবে উক্ত সংস্থার ম্যানেজিং এজেন্টের এবং সহযোগীর এবং উহার বা তাহার সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী, এবং যদি উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট কিংবা সহযোগী একটি ফার্ম হয় তবে ফার্মের সকল অংশীদারের কর্তব্য হইবে-

(ক) উক্ত কোম্পানী বা ক্ষেত্রমত উক্ত নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগীর বা উহাদের সহিত সম্পর্কিত সকল বহি ও কাগজপত্র, যাহা তাহাদের তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে রহিয়াছে তাহা সংরক্ষণ করা এবং পরিদর্শকের নিকট অথবা সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে এতদুদ্দেশ্যে পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত ব্যক্তির নিকট উপস্থাপন করা;

(খ) পরিদর্শককে তাহার তদন্তের ব্যাপারে অন্যান্যভাবে তাহারা যে সকল যুক্তিসংগত সহায়তা প্রদানে সমর্থ সেই সকল সহায়তা প্রদান করা৷

(২) পরিদর্শক, সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে (১) উপ-ধারায় বর্ণিত কোন নিগমিত সংস্থা ব্যতীত অন্য যে কোন নিগমিত সংস্থাকে তাহার বিবেচনায় সকল তথ্য, বহি বা কাগজপত্র তাহার নিকট কিংবা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রদত্ত কোন ব্যক্তির নিকট সরবরাহ বা উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন, যদি তদন্তের উদ্দেশ্যে উক্ত তথ্য, বহি বা কাগজপত্র সরবরাহ বা উপস্থাপন করা প্রাসংগিক বা প্রয়োজনীয় হয়৷

(৩) পরিদর্শক (১) বা (২) উপ-ধারার অধীনে উপস্থাপিত তথ্য , বহি বা কাগজপত্র ছয় মাস পর্যন্ত নিজের জিম্মায় রাখিতে পারিবেন এবং উহার পরে উক্ত তথ্য, বহি ও কাগজপত্র যে কোম্পানী, নিগমিত সংস্থা, ফার্ম বা ব্যক্তির পক্ষ হইতে সরবরাহ বা উপস্থাপন করা হইয়াছে উহার বা তাহার নিকট ফেরত দিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত তথ্য, বহি ও কাগজপত্র প্রয়োজন হইলে পরিদর্শক পুনরায় তলব করিতে পারিবেন :

আরও শর্ত থাকে যে, যদি (২) উপ-ধারার অধীনে উপস্থাপিত তথ্য, বহি ও কাগজপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি পরিদর্শকের নিকট সরবরাহ করা হইয়া থাকে, তাহা হইলে তিনি উক্ত তথ্য, বহি এবং কাগজপত্র ফেরত দিবেন৷

(৪) পরিদর্শক কোন কোম্পানী, অন্য, কোন নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগীর বিষয়াদির ব্যাপারে (১) উপ-ধারায় বর্ণিত যে কোন ব্যক্তিকে বা সরকারকে পূর্ব অনুমতিক্রমে অন্য যে কোন ব্যক্তিকে শপথবাক্য (oath) পাঠ করাইয়া জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন এবং তদুদ্দেশ্যে ঐ সকল ব্যক্তিকে তাহার সম্মুখে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷

(৫) যদি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি-

(ক) পদির্শকের নিকট অথবা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের পূর্ব অনুমোদনক্রমে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট এইরূপ কোন তথ্য, বহি বা কাগজপত্র উপস্থাপন করিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন যাহা (১) বা (২) উপ-ধারার অধীনে উপস্থাপন করা তাহার কর্তব্য, অথবা

(খ) এমন কোন তথ্য সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হন যাহা (২) উপ-ধারার অধীনে সরবরাহ করা তাহার কর্তব্য, অথবা

(গ) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে পরিদর্শকের নিকট হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়ার পর তদনুযায়ী হাজির হইতে অথবা উক্ত উপ-ধারা অনুযায়ী পরিদর্শক তাহাকে যে প্রশ্ন করেন, তাহার জবাব দিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন, অথবা

(ঘ) উপ-ধারা (৬)- েত বর্ণিত কোন জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কিত টোকায় (note) স্বাক্ষর করিতে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ডে বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়বিদ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন; এবং প্রথম দিন ব্যর্থ হওয়ার বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের পর হইতে উক্ত ব্যর্থতা অথবা অস্বীকৃতি অব্যাহত থাকিলে উহা অব্যাহত থাকাকালীন সময়ের প্রতিদিনের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৬) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কিত টোকা (note) লিখিয়া রাখিতে হইবে এবং যে ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাহাকে পড়িয়া শুনাইতে হইবে কিংবা সেই ব্যক্তি নিজেই উহা পড়িয়া স্বাক্ষরযুক্ত করিবেন, এবং তত্পর উহা তাহার বিরুদ্ধে স্বাক্ষ হিসাবে ব্যবহৃত হইতে পারে৷

(৭) এই ধারায়-

(ক) কোন কোম্পানী বা অন্যান্য নিগমিত সংস্থার ক্ষেত্রে, “কর্মকর্তা” বলিতে উক্ত কোম্পানী বা সংস্থার ডিবেঞ্চারহোল্ডারগণের পক্ষে যে কোন ট্রাষ্টীও অন্ত্মর্ভুক্ত হইবেন;

(খ) কোন কোম্পানী, অন্যান্য নিগমিত সংস্থা বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে, “প্রতিনিধি” বলিতে এমন একজন ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি উক্ত কোম্পানী, সংস্থা বা ব্যক্তির জন্য বা পক্ষে কর্মরত থাকেন বা কর্মরত বলিয়া বিবেচিত হন; এবং উক্ত কোম্পানী, সংস্থা বা ব্যক্তি কর্তৃক উহার বা তাহার ব্যাংকার, আইন-উপদেষ্টা এবং নিরীক্ষকগন হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিও এই সংজ্ঞার অন্ত্মর্ভুক্ত হইবেন; এবং

(গ) কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী, প্রতিনিধি বা অংশীদারগণের কোন উল্লেখ থাকিলে, তদ্বারা অতীত এবং বর্তমানের সকল কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী, প্রতিনিধি বা অংশীদারগণকে বুঝাইবে৷
পরিদর্শকগণ কর্তৃক দলিলপত্র আটক

২০১৷ (১) যে ক্ষেত্রে ১৯৫ বা ১৯৭ ধারার অধীনে তদন্ত পরিচালনাকালে পরিদর্শকের এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, কোন কোম্পানীর বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থার অথবা উহাদের কাহারও ম্যানেজিং এজেন্ট বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজারের অথবা উক্ত ম্যানেজিং এজেন্টের কোন সহযোগীর কোন নথি, বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র বিনষ্ট, বিকৃত, পরিবর্তিত, মিথ্যা-প্রতিপন্ন (falsify) বা গোপন করা হইতে পারে, সেই ক্ষেত্রে পরিদর্শক উক্ত নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র আটকের আদেশদানের উদ্দেশ্যে, এখ্তিয়ারসম্পন্ন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷

(২) উক্ত আবেদন বিবেচনা এবং প্রয়োজন হইলে পরিদর্শকের শুনানী গ্রহণের পর ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ দ্বারা পরিদর্শককে নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা দিতে পারিবেন, যথা :-

(ক) যে স্থান বা স্থানসমূহে ঐ সকল নথি, বহি বা অন্যান্য কাগজপত্র রাখা হইয়াছে সেই স্থান বা স্থানসমূহে প্রয়োজনীয় সাহায্য লইয়া প্রবেশ;

(খ) উক্ত আদেশে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ঐ স্থান বা স্থানসমূহ অনুসন্ধান; এবং

(গ) তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য তাহার প্রয়োজনীয় নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র আটক৷

(৩) পরিদর্শক এই ধারার অধীনে আটককৃত নথি, বহি ও অন্যান্য কাগজপত্র তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সময় পর্যন্ত, তবে তদন্ত শেষ হওয়ার পরে নহে, নিজ জিম্মায় রাখিবেন এবং তত্পর ঐগুলি যে কোম্পানী বা অন্য নিগমিত সংস্থা অথবা ম্যানেজিং এজেন্ট বা উক্ত ম্যানেজিং এজেন্টের সহযোগী বা ব্যবস্থাপনা-পরিচালক কিংবা ম্যানেজার বা অন্য যে ব্যক্তির জিম্মা বা নিয়ন্ত্রয়ণ হইতে আটক করা হইয়াছিল উহার বা তাহার নিকট ফেরত দিবেন এবং এই ফেরতদান সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করিবেন :-

তবে শর্ত থাকে যে, পরিদর্শক ঐ সব নথি, বহি ও কাগজপত্র ফেরত প্রদানের পূর্বে ঐগুলির উপর বা ঐগুলির কোন অংশে সনাক্তকরণ চিহ্ন স্থাপন করিতে পারিবেন৷

(৪) এই ধারার অধীনে কৃত প্রত্যেক অনুসন্ধান বা আটক Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধান অনুসারে, তবে এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, সম্পন্ন করিতে হইবে৷

৪র্থ

পরিদর্শকের প্রতিবেদন
২০২৷ (১) পরিদর্শকগণ নিজ উদ্যোগে সরকারের নিকট অন্ত্মর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পেশ করিতে পারিবেন এবং উহা করিবার জন্য যদি সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হন তাহা হইলে অবশ্যই উক্ত প্রতিবেদন পেশ করিবেন এবং তদন্ত সমাপ্তির পর চূড়ান্ত্ম প্রতিবেদন পেশ করিবেন; এবং এই চূড়ান্ত্ম প্রতিবেদন সরকারের নির্দেশ অনুসারে লিখিত বা মুদ্রিত আকারে হইতে হইবে৷

(২) সরকার

(ক) চূড়ান্ত্ম প্রতিবেদনের অনুলিপি কোম্পানীর নিবন্ধিকৃত কার্যালয়ে এবং ধারা ১৯৯ অনুসারে তদন্তের সহিত সংশ্লিষ্ঠ হইলে এবং প্রতিবেদনে উল্লেখিত থাকিলে, অন্য কোন নিগমিত সংস্থা ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগীকেও উক্ত অনুলিপি প্রেরণ করিবে;

(খ) যদি উপযুক্ত মনে করে এবং যদি নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া প্রতিবেদনের অনুলিপির জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের কেহ আবেদন করেন, তাহা হইলে তাহাকে উহা সরবরাহ করিতে পারে, যথা :-

(অ) উক্ত কোম্পানীর সদস্য, বা ধারা ১৯৯ এর বিধান যাহার প্রতি প্রযোজ্য হয় এইরূপ অন্য কোন নিগমিত সংস্থার সদস্য বা ম্যানেজিং এজেন্ট বা উক্ত এজেন্টের সহযোগী, অথবা উক্ত এজেন্ট বা সহযোগী কোন নিগমিত সংস্থা হইলে উহার সদস্য;

(আ) উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট বা তাহার সহযোগী কোন ফার্ম হইলে উক্ত ফার্মের অংশীদার;

(ই) উক্ত কোম্পানী বা উক্ত নিগমিত সংস্থা বা উক্ত ম্যানেজিং এজেন্ট বা উহার সহযোগীর কোন পাওনাদার, যাহার স্বার্থের ক্ষতি হইবে বলিয়া সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয়;

(গ) যেক্ষেত্রে ১৯৫ ধারার (ক) বা (খ) দফার অধীনে পরিদর্শক নিয়োগ করে, সেই ক্ষেত্রে তদন্ত প্রার্থীকে তাহার অনুরোধক্রমে প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি সরবরাহ করিবে;

(ঘ) যেক্ষেত্রে ১৯৭ ধারার (ক) দফার অধীনে আদালতের আদেশক্রমে পরিদর্শক নিয়োগ করে, সেই ক্ষেত্রে প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি আদালতকে সরবরাহ করিবে; এবং

(ঙ) প্রতিবেদনটি প্রকাশও করাইতে পারিবে৷

 মামলা রম্্নজু

২০৩৷ (১) ধারা ২০২ এর অধীন প্রদত্ত কোন প্রতিবেদন হইতে সরকারের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, ধারা ১৯৯ এর বিধানবলে যে কোম্পানী বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা ম্যানেজিং এজেন্টের কোন সহযোগীর বিষয়াদি তদন্ত করা হইয়াছে সেইগুলির ব্যাপারে কোন ব্যক্তি ফৌজদারী আদালতে দণ্ডনীয় কোন অপরাধ করিয়াছেন, তাহা হইলে সরকার উক্ত অপরাধের জন্য ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রম্্নজু করিতে পারিবে; এবং উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত উক্ত কোম্পানী, সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগীর সকল কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মচারী ও এজেন্টের কর্তব্য হইবে সরকারকে উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় এইরূপ সকল প্রকার সহায়তা করা যাহা তাহার নিকট হইতে যুক্তিসংগতভাবে প্রত্যাশা করা যায়৷

(২) ধারা ২০০ এর উপ-ধারা (৭) এর বিধান, এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সেইরূপে প্রযোজ্য হইবে যেরূপে তাহা উক্ত-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রযোজ্য হয়৷

কোম্পানী ইত্যাদি অবলুপ্তির জন্য বা তদুদ্দেশ্যে আদেশের জন্য আবেদন

২০৪৷ যদি ১৯৯ ধারায় উল্লেখিত কোন কোম্পানী বা উক্ত ধারায় উল্লেখিত অন্য কোন নিগমিত সংস্থা অথবা উক্ত ধারায় উল্লেখিত কোন ম্যানেজিং এজেন্ট অথবা সহযোগী একটি নিগমিত সংস্থা বিধায় এই আইনের অধীনে অবলুপ্তিযোগ্য হয়, এবং যদি ২০১ ধারার অধীন পেশকৃত প্রতিবেদন হইতে ইহা প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৭ ধারার (খ) দফার (অ) বা (আ) উপ-দফায় বর্ণিত কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে উহার অবলুপ্তি সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী, সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগী, পূর্ব হইতেই আদালতের মাধ্যমে অবলুপ্তির প্রক্রিয়াধীন না থাকিলে, সরকার রেজিষ্ট্রারকে দিয়া আদালতের নিকট-

(ক) এই মর্মে একটি দরখাস্ত্ম পেশ করাইতে পারিবে যে, উক্ত কোম্পানী, সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট বা সহযোগীর অবলুপ্তি ঘটানোই সঠিক এবং ন্যায়সংগত;

(খ) ধারা ২৩৩ এর অধীনে একটি আদেশদানের জন্য আবেদন পেশ করাইতে পারিবে

(গ) পূর্বোক্তভাবে একটি দরখাস্ত্ম এবং একটি আবেদন উভয়ই পেশ করাইতে পারিবে৷

খেসারত (damages) আদায় বা সম্পত্তি পুনরম্্নদ্ধারের জন্য মামলা

২০৫৷ (১) যদি ২০১ ধারার অধীন পেশকৃত প্রতিবেদন হইতে সরকারের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৯ ধারার (ক), (খ) বা (গ) দফার অধীনে যে কোম্পানী বা অন্য নিগমিত সংস্থার বিষয়াদি তদন্ত করা হইয়াছে, জনস্বার্থে সেই কোম্পানী বা সংস্থার উচিত মামলা দায়ের করা, তাহা হইলে-

(ক) উক্ত কোম্পানী বা সংস্থা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ বা গঠন বা উহার বিষয়াদি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে প্রতারণা, বৈধ কার্যকলাপ অবৈধভাবে

সম্পাদন (misfeasance) বা অন্য কোন অসদাচরণের নিমিত্ত খেসারত আদায়ের উদ্দেশ্যে, অথবা

(খ) উক্ত কোম্পানী বা সংস্থার যে সম্পত্তির অপব্যবহার করা হইয়াছে বা যে সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অধিকারে রাখা হইয়াছে সেই সম্পত্তি পুনরম্্নদ্ধারের উদ্দেশ্যে, সরকার স্বয়ং উক্ত কোম্পানী বা সংস্থার পক্ষে মামলা দায়ের করিতে পারিবে৷

(২) কোন তুচ্ছ কারণে উপ-ধারা (১) এর অধীনে মামলা দায়ের করা হইয়াছে বলিয়া সাব্যস্ত্ম হইলে, সরকার উক্ত মামলা বা তত্সংশিস্্নষ্ট বিষয়াদির খরচ উক্ত কোম্পানী বা সংস্থাকে দিতে বাধ্য থাকিবে৷

 তদন্তের খরচ

২০৬৷ (১) ধারা ১৯৫ অথবা ১৯৭ এর অধীনে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিদর্শক কর্তৃক তদন্তের জন্য এবং উহার আনুষংগিক বিষয়াদির জন্য প্রাথমিক খরচ সরকার বহন করিবে, তবে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ নিম্নবর্ণিত সীমা পর্যন্ত উক্ত খরচের অর্থ সরকারকে পরিশোধ করিয়া দিতে দায়ী থাকিবেন, যথা:-

(ক) ধারা ২০৩ অনুসারে দায়েরকৃত মামলায় যে ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত্ম হন সেই ব্যক্তি এবং ২০৫ ধারা অনুসারে দায়েরকৃত মামলায় খেসারত প্রদান বা সম্পত্তি প্রত্যার্পণের জন্য আদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত তদন্তের খরচ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন, তবে আদালতের আদেশে যে পরিমাণ খরচ প্রদানের নির্দেশ থাকে সেই পরিমাণের অতিরিক্ত খরচ পরিশোধে তাহারা বাধ্য থাকিবেন না;

(খ) ধারা ২০৫ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে, উক্ত বিধানে উল্লেখিত কোম্পানী বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থা উক্ত তদন্তের খরচ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন, তবে মামলার ফলে যে অর্থ বা সম্পত্তি আদায় বা উদ্ধার করা হয় সেই অর্থ বা সম্পত্তির মূল্যের সমপরিমাণের অতিরিক্ত কোন অর্থ পরিশোধের জন্য উক্ত কোম্পানী বা সংস্থা দায়ী থাকিবে না;

(গ) তদন্তের ফলে ২০৩ ধারা অনুসারে মামলা দায়ের করা না হওয়ার ক্ষেত্রে-

(অ) পরিদর্শকের প্রতিবেদন যাহার সম্পর্কে প্রণীত হইয়াছে এইরূপ যে কোন কোম্পানী, নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট, সহযোগী, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজার উক্ত তদন্তের সম্পূর্ণ খরচ পরিশোধ করিবেন, যদি না সরকার ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ প্রদান করে:

(আ) যদি ১৯৫ ধারা (ক) ও (খ) দফার অধীনে পরিদর্শক নিযুক্ত হইয়া থাকেন, তবে তদন্ত প্রার্থীগণ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত তদন্তের খরচ পরিশোধ করিবেন৷

(২) কোন কোম্পানী বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থা উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থের জন্য দায়ী তাহা উক্ত দফায় বর্ণিত অর্থ বা সম্পত্তির উপর প্রথম চার্জ হিসাবে গণ্য হইবে৷

(৩) উপ-ধারা (১) এর (গ) দফার (অ) উপ-দফা অনু্যায়ী কোন কোম্পানী বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট, সহযোগী, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজার যে অর্থ সরকারকে পরিশোধ করার জন্য দায়ী সেই অর্থ উক্ত কোম্পানী, সংস্থা, ম্যানেজিং এজেন্ট, সহযোগী, ব্যবস্থাপনা-পরিচালক বা ম্যানেজারের নিকট হইতে বকেয়া ভূমি-রাজস্বের মত আদায়যোগ্য হইবে৷

(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ২০৫ ধারাবলে আনীত মামলায় বা মামলার সহিত সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে সরকারের সকল খরচ এবং উক্ত ধারার (২) উপ-ধারার অনুযায়ী কৃত খরচসমূহ সেই তদন্তের খরচ বলিয়া গণ্য হইবে যাহার ভিত্তিতে উক্ত মামলার উত্পত্তি হইয়াছে৷

(৫) উপ-ধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফার অধীনে সরকারকে কোন অর্থ পরিশোধ করা যাহার দায়িত্ব, তাহারই দায়িত্ব হইবে, সরকারের পাওনা পরিশোধ সাপেক্ষে, উক্ত উপ-ধারার (গ) দফার অধীনে দায়িত্বের বিপরীতে সকল ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা৷

(৬) উপ-ধারা (১) এর (ক) দফার অধীনে সরকারকে কোন অর্থ পরিশোধ করা যাহার দায়িত্ব, তাহারই দায়িত্ব হইবে, সরকারের পাওনা পরিশোধ সাপেক্ষে, উক্ত উপ-ধারার (খ) দফার অধীনে দায়িত্বের বিপরীতে সকল ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা৷

(৭) উপ-ধারা (১) এর (ক) বা (খ) বা (গ) দফার অধীনে কোন অর্থ পরিশোধের জন্য যে ব্যক্তি দায়ী হন তিনি এতদুদ্দেশ্যে অন্যান্য সকল ব্যক্তির নিকট হইতে উক্ত দফা বা দফাসমূহের অধীন তাহাদের দায়িত্বের পরিমাণ অনুসারে চাঁদা পাওয়ার অধিকারী হইবেন৷

(৮) এই ধারার অধীনে সরকার কর্তৃক প্রদেয় ব্যয়ের যতটুকু তদধীনে আদায় করা না যায় ততটুকু জাতীয় সংসদ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ব্যবস্থিত অর্থ হইতে প্রদান করা হইবে৷

পরিদর্শক নিয়োগের জন্য কোম্পানীর ক্ষমতা

২০৭৷ (১) কোম্পানী উহার বিষয়াদি তদন্তের জন্য, উহার বিশেষ সিদ্ধান্তবলে, পরিদর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিদর্শকের ন্যায় উপরোক্তরূপে নিযুক্ত পরিদর্শকেরও একই প্রকার ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, তবে পার্থক্য এই যে তাহারা সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ করার পরিবর্তে কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় যেভাবে এবং যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ প্রদান করিবে সেইভাবে এবং সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নিকট তাহাদের প্রতিবেদন পেশ করিবেন৷

(৩) যে ব্যক্তি কোম্পানীর কর্মকর্তা আছেন বা ছিলেন, তিনি উপরোক্ত পরিদর্শকগণের নিকট উপস্থাপিতব্য কোন বহি বা অন্যবিধ দলিল উপস্থাপন করিতে বা তাহাদের কোন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে, তিনি সেই একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন যে দণ্ড উক্ত পরিদর্শকগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইলে ধারা ২০০(৫) অনুসারে, তাহার উপর আরোপনীয় হইত৷

পরিদর্শকের প্রতিবেদনের স্বাক্ষমূল্য

২০৮৷ এই আইনের অধীনে নিযুক্ত যে কোন পরিদর্শক কর্তৃক প্রণীত প্রতিবেদনের অনুলিপি যে কোম্পানীর বিষয়াদি তিনি তদন্ত করিয়াছেন সেই কোম্পানীর সীলমোহর দ্বারা প্রমাণীকৃত (authenticated) হইলে, উক্ত অনুলিপি, উহাতে বিধৃত যে কোন বিষয়ের ব্যাপারে, উক্ত পরিদর্শকের মতামতের প্রমাণ বা স্বাক্ষ হিসাবে যে কোন আইনগত কার্যধারায় গ্রহণযোগ্য হইবে৷

আইন-উপদেষ্টা ও ব্যাংকারগণের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম

২০৯৷ ধারা ১৯৩ হইতে ২০৬ এর কোন বিধানবলেই নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক রেজিষ্ট্রার বা সরকার অথবা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন পরিদর্শকের নিকট নিম্নবর্ণিত বিষয়ে কোন কিছু প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক হইবে না, যথা :-

(ক) আইন-উপদেষ্টা হিসাবে তাহার সহিত তাহার মক্কেল কর্তৃক যে কোন যোগাযোগের বিষয়, যাহা উক্ত সম্পর্কের কারণে অব্যাহতি প্রাপ্ত (Privileged), তবে মক্কেলের নাম ও ঠিকানা ব্যতীত,

(খ) উক্ত ধারাগুলিতে উল্লেখিত কোম্পানী, বা অন্য কোন নিগমিত সংস্থা, বা ম্যানেজিং এজেন্ট, বা ম্যানেজিং এজেন্টের সহযোগী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার এর কোন ব্যাংকার কর্তৃক, অনুরূপ ব্যাংকার হিসাবে, তাহার উক্ত গ্রাহকের বিষয়াদি সংক্রান্ত্ম যে কোন তথ্য৷

নিরীতগকগণের নিয়োগ ও তাহাদের পারিশ্রমিক

২১০৷ (১) প্রত্যেক কোম্পানী উহার প্রত্যেক বার্ষিক সাধারণ সভায় এক বা একাধিক নিরীক্ষকগনকে উক্ত সভার সমাপ্তি হইতে পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি পর্যন্ত সময়ের জন্য নিয়োগ করিবে এবং নিয়োগের সাত দিনের মধ্যে নিযুক্ত প্রত্যেক নিরীক্ষকগনকে উক্ত নিয়োগ সম্পর্কে অবহিত করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে নিরীক্ষকগন হিসাবে নিয়োগ বা পুনঃ নিয়োগ করার পূর্বে তাহার লিখিত সম্মতি ব্যতীত তাহাকে নিয়োগ করা যাইবে না৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত প্রত্যেক নিরীক্ষকগন কোম্পানীর নিকট হইতে তাহার নিয়োগের সংবাদ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে রেজিষ্ট্রারকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন যে তিনি উক্ত নিয়োগ গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করিয়াছেন৷

(৩) যে কর্তৃপক্ষ দ্বারাই নিযুক্ত হইয়া থাকুক না কেন, অবসর গ্রহণ করিতে যাইতেছেন এইরূপ নিরীক্ষকগনকে বার্ষিক সাধারণ সভায় পুনরায় নিয়োগ করিতে হইবে, যদি না –

(ক) তিনি পুনঃনিয়োগ লাভের জন্য তাহার যোগ্যতা হারাইয়া থাকেন; অথবা

(খ) পুনঃনিযুক্ত হইতে তাহার অনিচ্ছার কথা জানাইয়া তিনি কোম্পানীকে লিখিত নোটিশ দিয়া থাকেন; অথবা

(গ) তাহার পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করার জন্য অথবা তাহাকে পুনর্নিয়োগ করা হইবে না বলিয়া স্পষ্টভাবে উক্ত সভায় একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়া থাকে :

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (গ) এর অধীনে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে সভার পূর্বেই তত্সম্পর্কে ২১১ ধারা অনুযায়ী নোটিশ দিতে হইবে, এবং তাহার মৃত্যু, অসমর্থতা, অযোগ্যতা বা অসততা ব্যতীত অন্য কোন কারণে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না৷

(৪) যদি বার্ষিক সাধারণ সভায় কোন নিরীক্ষকগন নিয়োগ না করা হয়, তাহা হইলে সরকার উক্ত শূন্য পদে উহার বিবেচনায় উপযুক্ত কোন ব্যক্তিকে নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে সরকারের ক্ষমতা প্রয়োগযোগ্য হওয়ার সাত দিনের মধ্যে কোম্পানী উক্ত ঘটনা সম্পর্কে সরকারকে নোটিশ প্রদান করিবে; এবং যদি কোন কোম্পানী এইরূপ নোটিশ প্রদান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানী অনধিক এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উহার প্রত্যেক কর্মকর্তা, যিনি উক্ত ব্যর্থতার জন্য দায়ী তিনিও একই দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷

(৬) কোম্পানী নিবন্ধিকৃত হওয়ার তারিখ হইতে একমাসের মধ্যে উহার পরিচালক পরিষদ কোম্পানীর প্রথম নিরীক্ষকগন বা নিরীক্ষকগনগণকে নিয়োগ করিবে এবং উক্ত নিরীক্ষকগন বা নিরীক্ষকগনগণ কোম্পানীর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তাহার বা তাহাদের পদে বহাল থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে –

(ক) উক্ত কোম্পানী কোন সাধারণ সভায় অনুরূপ যে কোন নিরীক্ষকগনকে অপসারণ করিতে পারিবে, এবং তাহার বা তাহাদের স্থলে অন্য এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে নিয়োগ করিতে পারিবে যিনি বা যাহারা কোম্পানীর কোন সদস্য কর্তৃক মনোনীত হইয়াছেন এবং যাহার বা যাহাদের মনোনয়ন সম্পর্কে কোম্পানীর অন্যান্য সদস্যগণকে উক্ত সভা অনুষ্ঠানের তারিখের অনুন্য চৌদ্দ দিন পূর্বে নোটিশ দেওয়া হইয়াছে; এবং

(খ) পরিচালক পরিষদ এই উপ-ধারার অধীনে উহার ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকিলে, কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় প্রথম নিরীক্ষকগন বা সকল নিরীক্ষকগনগণকে নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(৭) নিরীক্ষকের কোন পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে, পরিচালক পরিষদ উক্ত পদ পূরণ করিতে পারিবে এবং পদটি শূন্য থাকাকালে বাকী নিরীক্ষকগন বা নিরীক্ষকগনগণ, কেহ থাকিলে, কাজ চালাইয়া যাইতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত শূন্যতা কোন নিরীক্ষকের পদত্যাগের কারণে ঘটিয়া থাকিলে শুধুমাত্র কোম্পানীর সাধারণ সভায় উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা যাইবে৷

(৮) সাময়িকভাবে শূন্য পদে নিযুক্ত কোন নিরীক্ষকগন কোম্পানীর পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভার সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদে বহাল থাকিবেন৷

(৯) উপ-ধারা (৭) এর শর্তাংশের অধীনে নিযুক্ত নিরীক্ষকগন ব্যতীত, এই ধারার অধীনে নিযুক্ত যে কোন নিরীক্ষকগনকে তাহার পদ হইতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে, কেবল কোম্পানীর সাধারণ সভার বিশেষ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অপসারণ করা যাইবে৷

(১০) কোম্পানীর নিরীক্ষকগনগণের পারিশ্রমিক –

(ক) পরিচালক পরিষদ বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন নিরীক্ষকের ক্ষেত্রে, যথাক্রমে উক্ত পরিষদ বা সরকার নির্ধারণ করিতে পারিবে; এবং

(খ) দফা (ক) এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত কোম্পানী উহার সাধারণ সভায় অথবা সাধারণ সভা যে পদ্ধতি স্থির করিবে সেই পদ্ধতিতে উক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারিত হইবে৷

(১১) উপ-ধারা (১০) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোম্পানী কর্তৃক নিরীক্ষকগনগণের খরচ হিসাবে ব্যয়িত যে কোন অর্থ পারিশ্রমিকের অন্ত্মর্ভুক্ত হইবে৷

নিরীতগকগণের নিয়োগ ও অপসারণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত বিধানাবলী

২১১৷ (১) অবসর গ্রহণকারী কোন নিরীক্ষকগন ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে নিরীক্ষকগন হিসাবে নিয়োগ দানের ক্ষেত্রে কিংবা অবসর গ্রহণকারী কোন নিরীক্ষকগনকে পুনরায় নিয়োগ করা যাইবে না মর্মে স্পষ্টভাবে বার্ষিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নোটিশ প্রদানের প্রয়োজন হইবে৷

(২) কোম্পানী উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর অবিলম্বে উহার একটি অনুলিপি অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষকের নিকট প্রেরণ করিবে৷

(৩) যে ক্ষেত্রে উক্ত নোটিশ দেওয়া হয় এবং অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষকগন তত্সম্পর্কে লিখিতভাবে নিবেদন পেশ করিয়া প্রস্ত্মাবিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সদস্যগণকে নোটিশ প্রদানের জন্য কোম্পানীকে অনুরোধ জানান, সে ক্ষেত্রে, উক্ত অনুরোধ কোম্পানীর নিকট বিলম্বে পৌঁছানো সত্ত্বেও নোটিশ দেওয়া অসম্ভব না হইলে, কোম্পানী –

(ক) উহার সদস্যগণের নিকট প্রেরিতব্য সিদ্ধান্তের নোটিশে উক্ত নিবেদনের বিষয় উল্লেখ করিবে; এবং
(খ) উক্ত নিবেদন পাওয়ার পূর্বে বা পরে যখনই উহার কোন সদস্যগণের নিকট সভার নোটিশ প্রেরণ করে তখনই উক্ত সদস্যের নিকট নিবেদনের অনুলিপি প্রেরণ করিবে; এবং বিলম্বে নিবেদনটি পাওয়ার কারণে অথবা কোম্পানীর কোন ত্রম্্নটির কারণে যদি উক্ত অনুলিপি প্রেরিত না হইয়া থাকে, তাহা হইলে নিরীক্ষকগন দাবী করিতে পারিবেন যে, উক্ত নিবেদন উক্ত সভায় পাঠ করিয়া শুনাইতে হইবে; এবং তিনি উক্ত সভায় তাহার বক্তব্য মৌখিকভাবেও পেশ করার অধিকারী হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোম্পানী অথবা সংত্মগুব্ধ কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে আদালত সন্তুষ্ট হয় যে, মানহানিকর কোন বিষয়ের অনাবশ্যক প্রচারণার জন্য এই ধারাবলে অর্পিত অধিকারের অপব্যবহার করা হইতেছে, তাহা হইলে, আদালত উক্ত নিবেদনের অনুলিপি প্রেরণ করা হইতে এবং উহা সভায় পাঠ করিয়া শুনানো হইতে কোম্পানীকে অব্যাহতি দিতে পারিবে এবং আদেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত কোম্পানীর বা উক্ত ব্যক্তির আবেদনের উপর কোম্পানীর যাবতীয় খরচ, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে, নিরীক্ষকগন পরিশোধ করিবেন, এমনকি তিনি উক্ত আবেদনপত্রে কোন পক্ষ না থাকিলেও৷

(৪) ধারা ২১০ এর উপ-ধারা (৬) বা (৯) এর অধীনে কোন অপসারণের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, এই ধারার (২) ও (৩) উপ-ধারা প্রযোজ্য হইবে যেমন তাহা কোন অবসর গ্রহণকারী নিরীক্ষকগনকে পুনর্নিয়োগ না করার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়৷

নিরীতগকগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা

২১২৷ (১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973, (P.O. No. 2 of 1973) তে ¤œChartered Accountant” শব্দদ্বয় যে অর্থ বহন করে সেই অর্থে কোন ব্যক্তি ¤œচাটার্ড এ্যাকাউন্টেন্ট” না হইলে তাহাকে কোন কোম্পানীর নিরীক্ষকগন হিসাবে নিয়োগ করা যাইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ফার্ম বাংলাদেশে কর্মরত উহার সকল অংশীদার উক্তরূপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইলে উক্ত ফার্ম কোম্পানীর নিরীক্ষকগন হিসাবে ফার্মের নামে নিয়োগলাভ করিতে পারিবে, এবং সে ক্ষেত্রে ফার্মের যে কোন অংশীদার ফার্মের নামে নিরীক্ষকের কাজ চালাইতে পারিবেন৷

(২) নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের কেহই কোন কোম্পানীর নিরীক্ষকগন হিসাবে নিয়োগলাভের যোগ্য হইবেন না, যথা :-

(ক) কোম্পানীর নাম কর্মকর্তা বা কর্মচারী;

(খ) কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অংশীদার বা উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর অধীনে চাকুরীরত ব্যক্তি;

(গ) কোম্পানীর নিকট এক হাজার টাকার অধিক পরিমাণ অর্থের জন্য ঋণী ব্যক্তি; অথবা কোম্পানীর নিকট এক হাজার টাকার অধিক পরিমাণ অর্থের জন্য তৃতীয় ব্যক্তির ঋণের সূত্রে গ্যারান্টি বা জামানত প্রদানকারী ব্যক্তি;

(ঘ) কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত কোন প্রাইভেট কোম্পানীর পরিচালক বা সদস্য অথবা এইরূপ নিযুক্ত কোন ফার্মের অংশীদার;

(ঙ) কোম্পানীর ম্যানেজিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত কোন নিগমিত সংস্থার পরিচালক, বা উক্ত সংস্থার প্রতিশ্রম্্নত মূলধনের শতকরা পাঁচের অধিক পরিমাণ শেয়ারের ধারক :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন তৃতীয় ব্যক্তির মনোনীত ব্যক্তি বা ট্রাষ্টী হিসাবে কোন ব্যক্তি কোন শেয়ারের ধারক হইলে এবং ঐ শেয়ারে তাহার কোন লাভজনক স্বার্থ না থাকিলে, এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, মূলধনের উক্ত সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাহার উক্ত শেয়ার বাদ দিতে হইবে৷

ব্যাখ্যা : এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে কর্মকর্তা বা কর্মচারী বলিতে কোন নিরীক্ষকগন উহাদের অন্ত্মর্ভুক্ত হইবেন না৷

(৩) কোন ব্যক্তি কোন কোম্পানীর নিরীক্ষকগনরূপে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবে না, যদি –

(ক) তিনি উপ-ধারা (২) অনুসারে অন্য এমন নিগমিত সংস্থার নিরীক্ষকগনরূপে নিয়োগ লাভের অযোগ্য হন যে-সংস্থাটি উক্ত কোম্পানীর অধীনস্থ বা নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানী বা উক্ত কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী অপর একটি অধীনস্থ কোম্পানী;

(খ) উক্ত নিগমিত সংস্থা যদি একটি কোম্পানী হইত, তবে তিনি উহার নিরীক্ষকগন হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার অযোগ্য হইতেন৷

(৪) যদি কোন নিরীক্ষকগন তাহার নিয়োগ লাভের পর (২) এবং (৩) উপ-ধারায় বর্ণিত যে কোন কারণে অযোগ্য হইয়া পড়েন, তাহা হইলে তিনি নিরীক্ষকের পদটি ত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷

3[ (৫) কোন ব্যক্তি কোন জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানীর নিরীক্ষক হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি না তিনি ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৩১ এর অধীন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক একজন নিরীক্ষক হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।]

নিরীতগকগণের ক্ষমতা ও কর্তব্য

২১৩৷ (১) কোম্পানীর যে কোন বহি, হিসাব ও ভাউচার কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে থাকুক বা অন্য যে স্থানেই রাখা হউক ঐগুলি যে কোন সময়ে দেখিবার জন্য কোম্পানীর প্রত্যেক নিরীক্ষকের অধিকার থাকিবে এবং নিরীক্ষকগন হিসাবে তাহার কর্তব্য পালনের জন্য তিনি কোম্পানীর কর্মকর্তাগণের নিকট হইতে যে তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রয়োজনীয় মনে করিবেন সেই তথ্য ও ব্যাখ্যা চাহিয়া লওয়ার অধিকারী হইবেন৷

(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতা ত্মগুণ্ন না করিয়া নিরীক্ষকগন নির্দিষ্টভাবে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তদন্ত করিবেন যথা :-

(ক) জামানতের ভিত্তিতে কোম্পানী কর্তৃক ঋণ বা অগ্রিম প্রদত্ত অর্থের সঠিকভাবে নিরাপত্তা বিধান করা হইয়াছে কিনা এবং উক্ত অর্থ যে শর্তে প্রদান করা হইয়াছে তাহা কোম্পানী বা উহার সদস্যগণের স্বার্থ-হানিকর কি না;

(খ) কোম্পানীর যে সমস্ত লেনদেন কেবলমাত্র খাতা-কলমে প্রদর্শিত হয় সেই সমস্ত লেনদেন কোম্পানীর স্বার্থ-হানিকর কি না;

(গ) বিনিয়োগ বা ব্যাংক কোম্পানী ব্যতীত অন্যান্য কোম্পানীর কোন পরিসম্পদ, শেয়ার ডিবেঞ্চার এবং অন্যান্য সিকিউরিটির মাধ্যমে যে মূল্যে ক্রয় করা হইয়াছিল তদপেত্মগা কমমূল্যে বিক্রয় করা হইয়াছে কি না;

(ঘ) কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম জমাকৃত অর্থ হিসাবে প্রদর্শন করা হইয়াছে কি না;

(ঙ) ব্যক্তিগত ব্যয় রাজস্ব ব্যয় খাতে (revenue account) অন্ত্মর্ভুক্ত করা হইয়াছে কিনা না;

(চ) যে ক্ষেত্রে কোম্পানীর কোন বহি বা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, কোন শেয়ার নগদ অর্থের বিনিময় বরাদ্দ করা হইয়াছে, সে ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষে উক্ত বরাদ্দ বাবদ নগদ অর্থ পাওয়া গিয়াছে কি না এবং যদি কোন নগদ অর্থ প্রকৃতপক্ষে পাওয়া গিয়া থাকে, তাহা হইলে হিসাব-বহিতে ও ব্যালান্স শীটে যে অবস্থা দেখানো হইয়াছে তাহা সঠিক, নিয়মিত এবং অবিভ্রান্ত্মিকর (not misleading) কি না৷

(৩) নিরীক্ষকগন, তাহার পদে বহাল থাকাকালীন সময়ে, কোম্পানীর বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপনের জন্য তত্কর্তৃক নিরীত্মিগত বিষয়সমূহের উপর, এবং এই আইনের বিধান অনুসারে কোম্পানীর সাধারণ সভায় পেশ করিতে হয় এইরূপ প্রত্যেক ব্যালান্স শীট ও লাভ-ক্ষতি হিসাবের উপর, এবং উক্ত ব্যালান্স শীট বা উক্ত হিসাবের অংশ হিসাবে বা উহাদের সহিত সংযোজিতব্য হিসাবে ঘোষিত হয় এমন দলিলের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরী করিবেন; এবং তিনি উক্ত প্রতিবেদনে বিবৃত করিবেন যে, তিনি যতদূর অবহিত আছেন এবং তাহার নিকট যে ব্যাখ্যা দান করা হইয়াছে উহার ভিত্তিতে তাহার মতে উক্ত প্রতিবেদনে এই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি রহিয়াছে এবং তাহা নিম্নবর্ণিত বিষয়ে একটি সঠিক ও সুষ্ঠু ধারণা প্রদান করে, যথা :-

(ক) ব্যালান্স শীটের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ঠ অর্থ-বত্সরের শেষে কোম্পানীর বিষয়াদির অবস্থা;

(খ) লাভ-ক্ষতির হিসাবের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ঠ অর্থ-বত্সরে কোম্পানীর লাভ বা ক্ষতির পরিমাণ৷

(৪) নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলিও বিবৃত থাকিতে হইবে, যথা : –

(ক) তাহার সর্বোত্তম জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে যে সমস্ত তথ্য ও ব্যাখ্যা তাহার পরীত্মগার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল ঐ সমস্ত তথ্য এবং ব্যাখ্যা তিনি পাইয়াছেন কি না;

(খ) তাহার মতে এই আইনের বিধান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় হিসাব-বহি সঠিকভাবে রাখা হইয়াছে কি না এবং তিনি কোম্পানীর যে সকল শাখা বা অংশ নিরীক্ষা করেন নাই সেখান হইতে নিরীক্ষার জন্য পর্যন্ত তথ্য পাইয়াছেন কি না;

(গ) প্রতিবেদনে বিবেচিত কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবের সহিত উক্ত কোম্পানীর হিসাব-বহি এবং বিবরণীর বাস্তব মিল আছে কি না৷

(৫) যে ক্ষেত্রে (৩) উপ-ধারার (ক) ও (খ) দফায় বা (৪) উপ-ধারার (ক), (খ), এবং (গ) দফায় বর্ণিত বিষয়াদির কোনটির উত্তর না সূচক অথবা বিশেষণযুক্ত হয়, সেক্ষেত্রে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে উক্ত উত্তরের কারণ বিবৃত থাকিবে৷

(৬) সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা এই মর্মে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত আদেশে উল্লেখিত শ্রেণীর বা বর্ণনার কোম্পানীসমূহের ক্ষেত্রে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে ঐ সমস্ত বিষয়ের উপরও বিবৃতি থাকিতে হইবে যে, বিষয়গুলি উক্ত আদেশে বিনির্দিষ্ট করা হয়৷

(৭) শুধুমাত্র কোম্পানীর কতিপয় বিষয় প্রকাশিত না হওয়ার কারণেই উহার হিসাবসমূহ যথাযথভাবে প্রণীত হয় নাই বলিয়া গণ্য হইবে না, বা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনেও ঐ রকম মন্তব্য করা হইবে না, যদি –

(ক) বিষয়গুলি এমন হয় যে, এই আইন অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের কোন নির্দিষ্ট বিধান অনুযায়ী উহাদেরকে প্রকাশ করা আবশ্যক নয় বলিয়া উক্ত কোম্পানী মনে করে; এবং

(খ) কোম্পানীর ব্যালান্স শীট এবং লাভ-ক্ষতির হিসাবে ঐ সমস্ত বিধানের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকে৷

কোম্পানীর শাখা কার্যালয়ের হিসাব নিরীতগা

 ২১৪৷ (১) কোন কোম্পানীর শাখা কার্যালয় থাকিলে, উক্ত শাখা-কার্যালয়ের হিসাব কোম্পানীর নিরীক্ষকগনগণ নিরীক্ষা করিতে পারেন বা নাও পারেন; এবং শাখা-কার্যালয় বাংলাদেশের বাহিরে কোন দেশে অবস্থিত থাকিলে, সেই অফিসের হিসাব কোম্পানীর নিরীক্ষকগন কর্তৃক অথবা, উক্ত কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারগণ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, সেই দেশের আইন অনুসারে যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি কর্তৃক নিরীত্মিগত হইবে৷

(২) কোম্পানীর নিরীক্ষকগন ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি কর্র্তৃক উহার কোন শাখা কার্যালয়ের হিসাব নিরীক্ষার ক্ষেত্রে, কোম্পানীর নিরীক্ষকগন –

(ক) একজন নিরীক্ষকগন হিসাবে তাহার দায়িত্ব পালনের জন্য যদি প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করেন তাহা হইলে উক্ত শাখা-অফিস পরিদর্শন করার অধিকারী হইবেন; এবং

(খ) সকল যুক্তিসংগত সময়ের উক্ত শাখা কার্যালয়ে রত্মিগত সকল বহি, হিসাবাদি ও ভাউচারসমূহ দেখিবার অধিকারী হইবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহিরে কোন ব্যাংক কোম্পানীর শাখা থাকিলে, উহার সেই সকল বহি এবং হিসাবের অনুলিপি ও উদ্ধৃতাংশ নিরীক্ষকগনকে পরীত্মগা করিতে দিলেই যথেষ্ট হইবে যেগুলি বাংলাদেশে কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে প্রেরিত হইয়াছে৷

নিরীতগা প্রতিবেদন ইত্যাদিতে স্বাতগরদান

২১৫৷ কেবল কোম্পানীর নিরীক্ষকগন হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তি অথবা ২১২ (১) ধারার শতাংশ অনুসারে কোন ফার্ম অনুরূপ নিযুক্ত হইলে, কেবল উক্ত ফার্মের কোন অংশীদার যিনি বাংলাদেশে কর্মরত আছেন, নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে বা আইন অনুযায়ী নিরীক্ষকগন কর্তৃক স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হইতে হয় কোম্পানীর এমন অন্যান্য দলিলে স্বাক্ষর দান করিবেন৷

নিরীতগকের প্রতিবেদন পঠন ও পরিদর্শন

২১৬৷ নিরীক্ষকের প্রতিবেদন কোম্পানীর সাধারণ সভায় পাঠ করা হইবে এবং উহা কোম্পানীর যে কোন সদস্যের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে৷

চলবে ৬ষ্ঠ ধাপ……

তথ্যসুত্র : http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-788.html

Tagged