শেয়ার ধারণে পরিচালকদের গড়িমসি কেনো

দ্বিতীয় দফায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের সময় পাচ্ছেন। শেয়ার কেনা চলমান এরকম কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। কোম্পানিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়।

তবে যে প্রশ্নটি যৌক্তিক, সেটি হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার ধারণে কতিপয় কোম্পানির পরিচালকদের গড়িমসি কেনো? যদিও কমিশন বলছে, ঢালাওভাবে কোনো কোম্পানিকে সময় দেওয়া হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই ওইসব পরিচালক দীর্ঘদিন ধরে ওই নির্দেশনা অমান্য করে আসছেন। এতে পুঁজিবাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে এতে পরিচালকা খুব একটা গা করছেন না। এটি দুঃখজনক।

২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজারে মহাধসের পর সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে অনেক উদ্যোক্তা-পরিচালকের শেয়ার বিক্রির তথ্য। তাদের বেশিরভাগই নামমাত্র শেয়ার নিয়ে দাপটের সঙ্গে বসতেন পরিচালনা পর্ষদে।

পর্যাপ্ত শেয়ার না থাকায় কোম্পানি পরিচালনায় তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেন, মালিকানার অংশ কম থাকায় উদ্যোক্তা-পরিচালকরা যেনতেনভাবে কোম্পানি পরিচালনা করেন, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এসব আলোচনা আমলে নিয়ে ২০১১ সালে পর্ষদে থাকার শর্ত হিসেবে পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ আর সম্মিলিতভাবে ৩০ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করে বিএসইসি। কিন্তু এতদিন বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৎপর হয়েছে। আমরা আশা করি বিষয়টি দ্রুত কার্যকর হবে।

Tagged