শেয়ারের অযৌক্তি দর বাড়া-কমা কোনোটাই কাম্য নয়

পুঁজিবাজারে মন্দাভাব চললেও টানা বাড়ছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ারের দাম। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। সার্বিকভাবে বাজারে যেখানে মন্দাভাব, সেখানে কোনো কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে সোনারগাঁও টেক্সটাইলের। এ কারণে বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এ উত্থানের পেছনে কারসাজিই প্রধান কারণ।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ মে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা। একটানা মূল্যবৃদ্ধির পর গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ১০ পয়সায়। সেই হিসাবে তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সাড়ে ৪৫ টাকা বা ১৪০ শতাংশ বেড়েছে। অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে গত জুলাইয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠির জবাবে ৫ জুলাই কোম্পানিটি জানায়, অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেতে পারে এমন কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। অর্থাৎ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানে না কোম্পানিটি।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত একটি কোম্পানি। ২০১৯ সালের পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে দীর্ঘ সময় কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে কোম্পানিটির মুনাফা ও আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমে যায়। তাতে গত বছরের শেষভাগে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম নেমে আসে ১৫-১৬ টাকায়। গত জানুয়ারি থেকে এটির দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। পাশাপাশি কোম্পানিটির আয় ও মুনাফা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর বাড়া-কমার বিষয়টি অস্বাভাবিক নয়। কিন্ত অযৌক্তিভাবে যেনে কোনো শেয়ারের দর বেড়ে বা কমে যেতে না পারে, সেটি নিশ্চত হওয়া প্রয়োজন।

Tagged