বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ যেনো সাংঘর্ষিক না হয়

দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলে পুঁজিবাজারে ফিরতে শুরু করেছে নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এর প্রতিফলন হিসাবে গতকাল মঙ্গলবার বাজারে সূচক ও লেনদেনে বড় উত্থানের ইংগিত দিয়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক এদিন হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে এবং লেনদেনও ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা।

জ্বালানি তেলের দাম এবং ডলারের ঊর্ধ্বগতির উত্তাপে গত এক সপ্তাহে টানা পতনে ছিল পুঁজিবাজার। গতকাল পতনের সেই চাপ কাটিয়ে বাজার ইউটার্ন নিয়েছে। সূচক ও লেনদেনের ঊধর্বগতি দেখে বুঝা যায়, নিষ্ক্রিয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও মনের চাপ কমবে বলে আশা করা যায়।

এর আগে ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট শেয়ারের ক্রয়মূল্যে নির্ধারণে বিনিয়োগকারীদের এক যুগের দাবি পূরণ করার ঘটনায় গত ৩১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩১ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধি নিয়ে উৎফুল্ল থাকা পুঁজিবাজার পরের সপ্তাহে ভীষণভাবে হতাশ করে বিনিয়োগকারীদের। টানা চার দিন সূচকের পাশাপাশি কমে যায় লেনদেনও। ওই চার দিনে সূচক কমেছে ১৬০ পয়েন্টের বেশি। আর লেনদেন পাঁচশ’ কোটির ঘরে নেমে আসে।

যেভাবেই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ যাতে সাংঘর্ষিক না হয়। এতে পুঁজিবাজার উপকৃত হবে।

Tagged