সাম্প্রতিককালে পুঁজিবাজারে কিছুটা আলোর ঝলকানি দেখা গেছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। বাজারের বর্তামান আচরণে সেই আশা মিলিয়ে যেতে বসেছে। আড়াই হাজার কোটি টাকায় উত্তীর্ণ লেনদেন এখন চারশ কোটির ঘরে নেমে এসেছে। ফলে বাজারের স্বাভাবিকতা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে হুটহাট করে সূচক শত পয়েন্ট কমে যাচ্ছে। শত-শত কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হচ্ছে। এর জন্য কোম্পানির মৌলভিত্তির যোগসূত্র কতটা রয়েছে, সে প্রশ্ন সামনে চলে আসে। শেয়ার দরের সঙ্গে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার চিত্র যদি না মিলে, তাহলে কী করে বাজারকে স্বাভাবিক বলা যায়!
দুয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর ওঠা-নামায় বাজার টলে গেলে, এটিকে কতটা যৌক্তিক বলা যাবে? এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয় ও অস্থিরতা জেঁকে বসে। তখন বাজার কোনোভাবেই ভারসাম্যের মধ্যে থাকে না। এমন ধরনের বাজারকে খুব সহজেই গুজব রটিয়ে বা অন্যকোনো অনিয়মের মাধ্যমে প্রভাবিত করা সম্ভব। যা আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমরা খুব যে সক্ষম, অতীত তা বলে না।