বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশের তথ্য সংগ্রহ করছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত সমস্ত কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তর পর থেকে এ পর্যন্ত লভ্যাংশ বিতরণ না করা কোম্পানিগুলোর তথ্য চেয়েছেন বিএসইসি। ডিএসই গত ৫ নভেম্বর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে অনিবন্ধিত এবং দাবিহীন নগদ ও স্টক ডিভিডেন্ড, এবং বিভিন্ন সাসপেন্স বিও অ্যাকাউন্ট ও সংস্থাগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা অনির্ধারিত সিকিওরিটিজ সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।

সূত্র মতে, ডিএসই সংস্থাগুলোকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে হার্ড কপির পরে ইমেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। এদিকে গত ৫ নভেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এই তথ্য সংগ্রহ করার জন্য একটি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। প্রতিষ্ঠান তিনটিকে সকল তথ্য কোম্পানিগুলোর কাছে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ইতোমধ্যে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানিকে বিএসইসির নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠিটি পাঠিয়েছে। আজ ১০ নভেম্বরের মধ্যে এই তথ্য চেয়েছে ডিএসই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, সব কোম্পানিতেই বিতরণ না হওয়া ডিভিডেন্ড। এগুলো দীর্ঘ দিন যাবত কোম্পানিগুলোর আলাদা একটি হিসাব জমা রাখা হয়েছে। কী পরিমাণ টাকা জমা আছে; আমরা তা জানি না। আগে তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সেগুলোকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা ঠিক করা হবে।

দু-তিন বছর আগে, তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলো শেয়ারহোল্ডারদের ঠিকানায় চেক প্রেরণ করে। কিন্তু, এখন অনেক সংস্থা অনলাইনে স্থানান্তর, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক তহবিল স্থানান্তর নেটওয়ার্ক (বিএফটিএন) এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করেছে। শেয়ারহোল্ডাররা ঠিকানা পরিবর্তন এবং স্বল্প পরিমাণে ডিভিডেন্ড সংগ্রহের জন্য তাদের আগ্রহের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে ডিভিডেন্ড পাননি।

বছর শেষে আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। পরবর্তীতে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় পর্ষদের ঘোষিত ডিভিডেন্ড অনুমোদন করেন শেয়ারহোল্ডাররা। অনুমোদনের ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে এই ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছাতে হয়। অনেক সময় শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাব বা ঠিকানা ভুল থাকলে ডিভিডেন্ড যায় না। ফলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ১১ ধারার ২ উপ-ধারা অনুযায়ী একটি আলাদা হিসাব খুলে ওই টাকা জমা রাখা হয়। যাতে করে পরবর্তীতে কোন শেয়ারহোল্ডার অভিযোগ করলে তা পূরণ করা যায়। এই পরিমাণ অনেক হয়েছে বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এটি একটি কার্যকর অবস্থা তৈরি করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এসএমজে/২৪/রা

Tagged