পুঁজিবাজারের স্বার্ বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসিকে অভিন্ন মত পোষণ করতে হবে। তা হলে বাজারে অস্থিরতা কমে আসবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ছাড়ের সবচেয়ে বড় প্রভাব হলো পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক মনোভাব। এত দিন বাজারশ্লিষ্টদের চাওয়াগুলো বছরের পর বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তেমন কোনো গুরুত্ব পেত না। এখন সেই মনোভাবের বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পুঁজিবাজারের দাবিদাওয়াগুলো একে একে পূরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারের জন্যই এটি বড় ইতিবাচক বার্তা।
এ কারণে নীতি ছাড়ের উদ্যোগটি বাজারে গতি ফেরাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারই তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা গেছে গত সপ্তাহের শেষ কার্দিবসের বাজারে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন প্রায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে। আর দিন শেষে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ১০০ কোটি টাকার বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮৭ কোটি টাকায়।
গত ১২ জুলাই নতুন গভর্নর হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার যোগ দিয়ে আগস্টে প্রথম পুঁজিবাজারের জন্য বড় ধরনের নীতি ছাড় দেন। এতে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে করার সুবিধা দেওয়া হয়। এখন বাজারে দেওয়া ব্যাংকের ঋণের প্রভিশনিংয়ের ক্ষেত্রেও নীতি ছাড় দেওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েবে বলে আশা করা যায়।