ফ্লোরপ্রাইস তুলে নেওয়া কতটা বিনিয়োগকারীবান্ধব হলো?

পুঁজিবাজারের সূচকে প্রভাব ফেলে এ রকম ৩৫টি কোম্পানি ছাড়া বাকি সব শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। ফ্লোর প্রাইস আরোপের প্রায় দেড় বছর পর এসে ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে তা তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আদেশে বলা হয়েছে, সরকারের নির্দেশনা মেনে বিএসইসি বিনিয়োগকারী ও শেয়ারবাজারের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। যেসব কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার তথা এক দিনে মূল্যবৃদ্ধি বা কমার সীমা আরোপ থাকবে। সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা পৌনে ৪ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। অর্থাৎ এক দিনে এসব কোম্পানির দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে বা বাড়তে পারবে। শেয়ারবাজারে ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থা চালুর আগে থেকেই সার্কিট ব্রেকারের এ সীমা চালু রয়েছে।

এখন দেখার বিষয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক হয়েছে, বিশেষ করে পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারী বান্ধব কতটা হলো সে বিষয়ে এখন সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়া উচিত।

Tagged