পুঁজিবাজার দুষ্টচক্রমুক্ত করাই বড় চ্যালেঞ্জ

একদিকে সুশাসন ফেরাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অব্যাহত চেষ্টা, অপরদিকে দুষ্টুচক্রের কারসাজি—এই নিয়ে অস্থির পুঁজিবাজার। ব্যাংকের আমানতে সুদ হার কমে যাওয়ার কারণে বেশি লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে মন্দ শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন অনেকে। এর ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ার পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। একইসঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক এবং লেনদেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক চিঠিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। বিশেষ করে ভালো মানের শেয়ারের দাম কমছে, অপরদিকে বাড়ছে মন্দ মানের কোম্পানির শেয়ারের দাম। ছোট বিনিয়োগকারীদের অনেকে লাভের আশায় মন্দ মানের কোম্পানির শেয়ার কিনছেন। এতে সাধারণ ও ছোট বিনিয়োগকারীদের বিপদে পড়ার আশঙ্কা দিনদিন বাড়ছে। একপর্যায়ে বড় বিনিয়োগকারীরা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে দুষ্টচক্র সক্রিয় থাকায় এমনটি ঘটছে। এতে প্রতিনিয়ত পুঁজি হারাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাই দুষ্টচক্রমুক্ত করাই পুঁজিবাজারের জন্য বর্তমানে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

Tagged