পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন

দেশের পুঁজিবাজারে টানা দুই সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুই সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬২ পয়েন্ট। আর টানা দুই সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা।

অনেকে ধারণা করতে পারেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তহবিলের একটি অংশ আটকে গেছে। এতে গত দুই সপ্তাহে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমেছে। এ সময়ে বেশকিছু কোম্পানি স্পট মার্কেটে ছিল। চলতি ২০২০-২১ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বেক্সিমকো লিমিটেডের মুনাফা কমার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে, যা সূচকের পতনে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বাড়ার কারণে অনেকেই এ খাতে বিনিয়োগে ঝুঁকেছেন। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বাড়া বা কমার প্রভাব সূচকে প্রতিফলিত হয় না। সব মিলিয়ে এ সময়ে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমেছে এবং তারা শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রি করেছেন বেশি, যার প্রভাব  হয়তো পড়েছে সার্বিক সূচকে।

বিষয়টি খুব সরলভাবে দেখার অবকাশ নেই। পুঁজিবাজার খুব সরল হিসেবের জায়গা নয়। এখানে সেভাবেই বিষয়টি দেখতে হবে। এককথায় বলা যায়- বাজারে আরও বেশি বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

Tagged