লোককথায় আছে- ‘ডাক্তার আসার আগেই রোগী মারা যাওয়া’র বিষয়টি। বিশেষ করে আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে এমন নজির অহরহই দেখা যায়।
পুঁজিবাজারের অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে নতুন করে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার দর সর্বোচ্চ বাড়তে পারবে ১০ শতাংশ। আর শেয়ার দর সর্বোচ্চ কমতে পারবে ২ শতাংশ।
গত মঙ্গলবার বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগের মতো দীর্ঘমেয়াদি হবে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ২ শতাংশের সীমা তুলে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য আইসিবিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি ইতোমধ্যে এটা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর যে ২০০ কোটি টাকা করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কথা রয়েছে, বর্তমানে তা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধাবস্থা ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের একটি জাহাজ পরিত্যক্ত ঘোষণাকে অনেকে বড় করে প্রচার করছেন বলে জানান বিএসইসির এই কমিশনার। গুজব ছড়াচ্ছে এমন ৩৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, পু্ঁজিবাজারে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ভূমিকাটা যেমন হওয়া দরকার ছিল, তা কোম্পানিটির বর্তমান ম্যানেজমেন্ট উপলব্ধি করছেন। আশা করি এই বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি আগামিতে পুঁজিবাজারে সঠিক ভূমিকা রাখতে পারবে।
এখ কথা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের বড় দরনের সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার পর কেনো এই ধরনের উপলব্ধি হয়? বাজারের একের পর ধস হলেই কেনো সংশ্লিষ্টদের ঘুম ভাঙে। এটি আর কত দেখতে হবে?