মানুষ সব ধরনের বিনিয়োগই করে মুনাফার জন্য। সুতরাং বিনিয়োগ থাকলে মুনাফা থাকবেই। কিন্তু কিছু মানুষের অনৈতিক মুনাফার প্রবণতা থাকে। অতি লোভের বশবর্তী হয়ে এসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অনিয়মের মাধ্যমে অনৈতিক মুনাফার চেষ্টা করে। এর ফলে বিনিয়োগের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। দেশের পুঁজিবাজারেও এ ধরনের তৎপরতা দেখা যায়। এটি খুবই দুঃখজনক।
২০১০ সালের পর থেকে পুঁজিবাজার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। এর জের ধরে বছরের পর বছর দেশের পুঁজিবাজার অস্থির ছিল। এই অস্থিরতার জন্য দায়ী কতপিয় ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনৈতিক মুনাফার চেষ্টা। বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত পুঁজিবাজার অস্বাভাবিক ছিল। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছেন, আহাজারি করেছেন, রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন। এসব কারণে সরকার বিভিন্ন সময়ে অনেক ভালো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারপরও পরিস্থির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। বর্তমান কমিশন যখন দায়িত্ব পেলো, তখন পুঁজিবাজারে কিছুটা গতি এলো। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আশার সঞ্চার হলো। এখন দরকার ওৎ পেতে থাকা অনিয়মকারীদের নির্মূল করা। তা হলে বাজারের স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা যায়।