পুঁজিবাজারের ইতিবাচক ধারা কতটা স্থাীয় হবে?

টানা দুই সপ্তাহ পতনের পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়েছে। ফলে বাজারে সার্বিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সব সূচকই পয়েন্ট যোগ হয়েছে। তবে সূচক বাড়লেও লেনদেন সামান্য কমেছে। এ সময়ে এক্সচেঞ্জটির অধিকাংশ শেয়ারের দাম বেড়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের মন্দাভাব কাটাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার দর কমার সীমা নির্ধারণ বাজারের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। পুঁজিবাজারের অস্থিরতা কমাতে গত ৮ মার্চ শেয়ারদর কমার সীমা ১০ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ বেঁধে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতেও বাজার ঘুরে না দাঁড়ানোয় গত বুধবার এ সীমা ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করে কমিশন। এতে সেদিনই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ৭৬ পয়েন্ট যোগ হয়। সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকর ভূমিকায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। বাজারে তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তবে এটি কতটা স্থায়ী সে বিষয়ে ভাবনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। কারণ এমন পরিবর্তন আগেও দেখা গেছে। কিন্তু স্থায়ী হয়নি।

 

Tagged