নিয়ন্ত্রক সংস্থা কি অসহায় হয়ে পড়েছে?

গত তিন বছরে যে তিনটি ব্রোকারেজ হাউস বিনিয়োগকারীদের টাকা মেরেছে, এর সবক’টিই ডিএসইর আওতাধীন। ডিএসইর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মতে, ব্রোকারেজ হাউস গ্রাহকদের টাকা লুটে নিলে তা ফেরত দিতে বাধ্য করার আইনি এখতিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের নেই। যেসব ব্রোকারেজ হাউস টাকা মেরেছে, সেগুলোর ব্যাংক হিসাবে টাকা নেই। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত না দিলে তাদের সম্পদ জব্দের পর তা বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া যায়। কাজটি স্টক এক্সচেঞ্জ করতে পারে না। এ কাজ বিএসইসিকে করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হলো বিএসইসি সেই কাজটি করছে না কেনো? বিনিয়োগকারীদের পকেটের টাকা এভাবে নাই হয়ে যাবে এটি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিতেয় হবে। আর এই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। কালক্ষেপণ হলে, পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।

ডিএসইর কর্মকর্তা বলছেন, স্টক এক্সচেঞ্জ কাউকে বেঁধে আনতে বা টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করতে পারে না। আইনেই আমাদের হাত-পা বাঁধা। ডিএসইর দায়িত্ব ছিল, টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউসের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে তদন্তে নামা। এ দায়িত্ব আমরা পালন করেছি।

এখন কথা হচ্ছে এরপরও যদি কাজ না হয়, তা হলে বিনিয়োগকারীরা কোথা যাবেন। আমরা ধরে নেবো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অসহায় হয়ে পড়েছে?

Tagged