নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় বাধা সৃষ্টি করে

পুঁজিবাজার নিয়ে এক দিনে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার দুই নির্দেশনার ফলে তৈরি হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি নির্দেশনা দুটি জারি করে মুদ্রাবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

দুই সংস্থার দুই নির্দেশনা এক অর্থে পরস্পরবিরোধী। বাংলাদেশ ব্যাংক যে নির্দেশনা জারি করেছে, তাতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এরপরই বিএসইসি সর্বোচ্চ ঋণ সুবিধা দিতে সূচকের সীমা ১ হাজার পয়েন্ট  বাড়ায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে নির্দেশ দেয় পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগসংক্রান্ত প্রতিদিনের তথ্য দিনে দিনে জানাতে হবে। এতে উদ্বেগ ছড়াতে থাকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীসহ বাজারসংশ্লিষ্টদের মনে। এরপরই বিএসইসি থেকে বলা হয় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ হাজার পয়েন্টে না যাওয়া পর্যন্ত সর্বোচ্চ (১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা) ঋণসুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। আগে সূচকের ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে এ সুবিধা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছিল।

দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেই সমন্বয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। না হলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভবিষ্যতে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার।

Tagged