কোরবানির পশু কেনাবেচা: অনলাইনকে গুরুত্ব দেয়া হোক

মুসলমানদের জন্য বিশেষ উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানি। ধর্মপ্রাণ মানুষ সাধ্যমতো পশু কোরবানি দেন এবং এর মাংসের একটি অংশ গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। কিন্তু এবার করোনা সংকটের কারণে বিষয়টি ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সঙ্গনিরোধ তথা মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যবিধি। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটের আয়োজন খুবই উদ্বেগের বিষয়।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশ্ন হলো যেখানে কাঁচাবাজার কিংবা শপিং মলগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যাচ্ছে না, সেখানে পশুর হাটে সম্ভব হবে কি না, তা–ও বিবেচনার দাবি রাখে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বলেছে, আবাসিক বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা শহরের কেন্দ্রস্থলে পশুর হাট বসানো হবে না। বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়। আবাসিক এলাকার বাইরে খেলার মাঠ বা যেখানেই পশুর হাট বসবে, সাময়িক হলেও সেখানে লোকসমাগম বাড়বে।

এই অবস্থায় ভার্চ্যুয়াল পশুর হাটই বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে। অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোরবানির পশুর ক্রেতা ও বিক্রেতারা একসঙ্গে মিলিত হবেন। বিক্রেতা গরু, ছাগল বা কোরবানির উপযুক্ত পশুর স্থিরচিত্র বা ভিডিও দেখাবেন। ক্রেতা গরু যাচাই-বাছাই করে পছন্দ হলে কিনবেন। টেলিফোনে অর্থ স্থানান্তর এবং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডে দাম পরিশোধ করা যাবে। ক্রেতা যেখানে চাইবেন, সেখানেই গরু পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও নিরাপদ হবে বলা আশা করা যায়।

Tagged