কারসাজি তদন্তের নির্দেশ: প্রমাণিত হলে কতটুকু শাস্তি হবে?

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাই বিএসইসি কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই)। সংবাদমাধ্যমের খবরে বিষয়টি জানা যায়।

বিএসইসি সূত্র বলছে, সংস্থাটির সার্ভেলেন্স টিমের নজরে খান ব্রাদার্সের শেয়ারের অস্বাভাবিক লেনদেন ধরা পড়েছে। বিএসইসি প্রাথমিকভাবে মনে করছে কোম্পানিটির এমন অস্বাভাবিক লেনদেন এবং শেয়ারদর বৃদ্ধির মাধ্যমে কারসাজি করছে একটি পক্ষ। তাই বিষয়টি নিশ্চিত হতে এবং অধিকতর তদন্তের লক্ষ্যে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কথা হচ্ছে এ ধরনের তদন্তের ঘটনা নতুন নয়। এরপরও থেমে নেই কারসাজি চক্র। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ প্রমাণিত হলেও নামমাত্র শাস্তি হয়। ফলে কারসাজি চক্র খুব একটা দমন হয় না। কেউ যদি হাজার টাকার অনিয়ম করে দশ টাকা জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যায়, তা হলে কারসাজি বন্ধ হবে কী করে? তাই প্রয়োজন বড় ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করা। শুধু আর্থিক জরিমানা নয়, অপরাধের ধরন অনুযায়ী কারাদন্ডের ব্যবস্থা করা। তা হলে কারসাজি চক্র কিছুটা হলেও ভয়ে থাকবে।

Tagged