আবারও ফ্লোরপ্রাইসে ধস ঠেকানোর চেষ্টা কতটা কাজে আসবে

পুঁজিবাজারের টানা পতন থামাতে আবারও ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সীমা আরোপের ফলে নির্ধারিত দামের নিচে নামতে পারবে না আর কোনো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম। নতুন এ সিদ্ধান্ত আজ রোববার থেকে কার্যকর হচ্ছে। টানা পতনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে আসায় গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

এর আগে ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আতঙ্ক ছড়ায় পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও। করোনার ধাক্কায় দ্রুত কমতে শুরু করে শেয়ারের দাম। এ অবস্থায় পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ সরকারের নির্দেশে প্রথমবারের মতো শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দামের সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয় বিএসইসি। এরপর ২০২০ সালের মে মাসে বিএসইসিতে নেতৃত্বের বদল ঘটে।

কারো কারো মতে, পুঁজিবাজার কখনো নিয়ন্ত্রিত বাজার বা কন্ট্রোলড মার্কেট হতে পারে না। বিএসইসি বাজারের পতন ঠেকাতে যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছে, সেগুলো অনেকটা নিয়ন্ত্রিত বাজারেরই নমুনা। তা হলে প্রশ্ন থাকে এই পদক্ষেপ বাজারের ধস ঠেকাতে কতটা কার্যকর হবে?

বিএসইসির নেতৃত্ব বদল ও ফ্লোর প্রাইসের কারণে শেয়ারবাজারে ধীরে ধীরে গতি ফিরতে শুরু করে। সেই কারণে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এরপর ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত বছরের ১০ অক্টোবর ৭ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টের সর্বোচ্চ সীমায় উঠেছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর পুঁজিবাজারে আবারও মন্দাভাব দেখা দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে গত ঈদুল আজহার ছুটির পর একটানা দরপতন চলছে বাজারে। এ দেখা যাক আজ সপ্তাহের শুরুতে বাজার কোন দিকে মোড় নেয়।

Tagged