আমাদের দেশে অনিয়ম করে দেশত্যাগের মানসিকতা নতুন নয়। অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টি দেখা যায়। এই মানসিকতা রোধ করতে হবে। যারা দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম করে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে ভোগ-বিলাসের জীবন যাপন করেন, তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই। তারা নিজের অপকর্মের জন্য অনুতপ্তও নন। এই ধরনের প্রবণতা দেশের উন্নতি ও বিকাশে পথে অন্তরায়। পুঁজিবাজারের বেলায়ও এমনটি ঘটা কাম্য নয়।
সম্প্রতি এমন একটি বিষয় সংবাদমাধ্যমে খবর হয়। বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর পথে ব্রোকারেজ হাউসের মালিক বানকো সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান আবদুল মুহিতকে বিমানবন্দরে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাকে আটক করা হয়।
বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবের বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউসটির লেনদেন স্থগিত রয়েছে। এ অবস্থায় ব্রোকারেজ হাউসটির মালিকেরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন, সে জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যালয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় আবদুল মুহিতসহ ব্রোকারেজ হাউসটির অন্য মালিকদেরও অভিযুক্ত করে অভিযোগ করা হয়েছিল।
বিষয়টিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা ছিল সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকলে অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না। এতে পুঁজিবাজার ও দেশের স্বার্থ রক্ষা পাবে।