এক বছর আগেও পুঁজিবাজারে লোকসানি কোম্পানি ছিল ৩৮টি। এক বছরের ব্যবধানে লোকসানি কোম্পানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১টিতে। অর্থাৎ এক বছরে লোকসানি কোম্পানির তালিকায় যোগ হয়েছে মুনাফায় থাকা আরও ২৩ কোম্পানি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন তথ্য জানা যায়।
২০১০ সালের দীর্ঘ মন্দার পর গত এক বছর পুঁজিবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। এ সময়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে। বিনিয়োগ সক্রিয়তাও বেড়েছে। এ সময় শেয়ারদরও কিছুটা বেড়েছে। এ সময়ে লোকসানি কোম্পানির তালিকাও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। যা স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের জন্য কোনভাবেই ইতিবাচক নয়।
গত এক বছরে পুঁজিবাজারে অনেক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে স্বচ্চতা, জবাবদিহিতার বিষয়ে কিছুটা আশাবাদ জেগেছে। তারপর ফাঁক-ফোঁকর গলিয়ে তালিকাভুক্ত অসাধু কোম্পানিগুলোর অনিয়ম ও স্বেচ্চাচারিতা অনেক বেড়েছে। যে কারণে পুঁজিবাজারে লোকসানি কোম্পানির তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। এটি মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এতে বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে বিষয়টি বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি গোচরে আসা প্রয়োজন।