হতাশাজনক লেনদেন থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার

টানা দরপতনের পর গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই বাজারে দরপতন হয়। এতে এক সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ১৬৫ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন কমে ১২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়।

এ পরিস্থিতিতে গতকাল লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। এতে দিন শেষে বাজারে বড় উত্থান হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। তবে শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। এতে সূচকের বড় উত্থান আটকে যায়।

অনেক দিন ধরেই পুঁজিবাজারে লেনদেন খরা চলছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন এখন ৭শ কোটি টাকায় নেমেছে। হতশাজনক লেনদেনের পরিমাণ থেকে পুঁজিবাজার বের হতে পারছে না।

Tagged