নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর অবণ্টিত বা অদাবিকৃত ডিভিডেন্ডের অর্থ স্থানান্তরের জন্য আরও সময় দাবি করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ফোরাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলী লিস্টেড কোম্পানীজ (বিএপিএলসি)।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্থিতিশীলতা তহবিলে ওই অর্থ স্থানান্তরের নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
অন্যদিকে, বিএপিএলসি স্থিতিশীলতা ফান্ডে ডিভিডেন্ডের অর্থ স্থানান্তরের জন্যেআরও সময় সময় দাবি করেছে।
গত বুধবার (৭ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই সময় চেয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠনটি।
এর আগে গত ৬ জুলাই বিএসইসি এক নির্দেশনায় সব তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের কাছে থাকা (যদি থেকে থাকে) অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড, অবণ্টিত ডিভিডেন্ড, আইপিওর রিফান্ড ইত্যাদি পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়।
বিএসইসির নির্দেশনায় টাকা জমা দেওয়ার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
বিএপিএলসি এই টাকা জমা দেওয়ার জন্য বাড়তি সময় চেয়েছে। তবে কতদিন সময় প্রয়োজন তা তারা উল্লেখ করেনি।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংগঠনটি বলছে, দুটি কারণে তাদেরকে বাড়তি সময় দেওয়া দরকার। প্রথমত, এই ধরনের টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শেয়ারহোল্ডার/সিকিউরিটিহোল্ডার অথবা তাদের নমিনিকে ৩০ দিনের আগাম নোটিস দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, আইপিওর সাবস্ক্রিপশনের টাকা রিটার্নের ক্ষেত্রে বহু বছরের পুরনো নথিপত্র ঘাঁটতে হবে। কিন্তু করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে প্রায় সব অফিস সীমিত পরিসরে চলছে বলে এই কাজগুলো ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করা বেশ কঠিন। তাই তাদেরকে বাড়তি সময় দেওয়া প্রয়োজন।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অবণ্টিত ও অদাবিকৃত লভ্যাংশ ও রিফান্ডের পরিমাণ হতে পারে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।
এসএমজে২৪/কাকা