সরকারের দেওয়া সুবিধা বিনিয়োগকারীদের কাজে লাগতে হবে। না হলে পুঁজিবাজার নিয়ে শংসয় থেকেই যাবে। অনেক সময় দেখা যায় লাভের গুড় পিঁপড়া খায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বঞ্চিত থেকে যান। এটি খুবই দুঃজনক। পুঁজিবাজারের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো দূর করার জন্য সব মহল থেকে সমানে কাজ করতে হবে।
সম্প্রতি তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে বিশেষ তহবিল দিয়েছে তার মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
একই সঙ্গে এ বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করার দাবি জানিয়েছে স্টক ব্রোকারদের সংগঠন। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিশেষ তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের বরাবর চিঠি পাঠিয়ে এ বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে ডিবিএর পক্ষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে আমাদের বাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন প্রায় ৪০ শতাংশ বা ২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা হ্রাস পেয়েছে। এ মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন- ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার এবং অন্য অংশীদারসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছ। আমরা মনে করি পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে হবে। তবে সেটি যেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাজে লাগে। না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।