পুঁজিবাজারে সরকারি সিকিউরিটিজের (প্রতিষ্ঠানে) বিনিয়োগের চেয়ে নিরাপদ কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজের চেয়ে নিরাপদ বিনিয়োগ আর কিছু হয় না। এমনকি বিশ্বেও সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে জনপ্রিয়তা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারের মাল্টি পারপাস হলে স্টেকহোল্ডার ও প্রধান নির্বাহীদের অংশগ্রহণে ‘স্টক এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন’ সম্পর্কিত এক কর্মশালা তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান সাইদ মাহমুদ জুবায়ের সঞ্চালনায় সরকারি সিকিউরিটিজগুলোর লেনদেনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার এবং সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারি সিকিউরিটিজে যারা বিনিয়োগ করবে তারা যেন দ্রুত লিকুইডিটি পায় সেই বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে, যে উদ্দেশ্যে বন্ড মার্কেট চালু করা হয়েছে তা যাতে বাস্তবায়ন করা যায়। সরকারের সকল পক্ষের আন্তরিক চাওয়া থেকে পুঁজিবাজারের সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো ফি নেই। এটি কী আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনার করা হচ্ছে। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করেছি বন্ডের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা। ইতিমধ্যে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। এছাড়াও বন্ডকে জনপ্রিয় করার জন্য ক্যাম্পেইন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ইউনুসুর রহমান বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার ও বিমা খাত তুলনামূলকভাবে দুর্বল। আমাদের ব্যাংকিং খাত দুর্বল নয়। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সমালোচনার মধ্যে পড়ে গেছে। এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য অনেক কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাইফুর রহমান মজুমদার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে ইকুইটি প্রোডাক্ট লেনদেন হয়ে আসছে। এসএমই, অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড যা চালু করা হয়েছে সবই ইকুইটি নির্ভর। যদিও এ বোর্ডগুলোতে কিছু কিছু ডেট সিকিউরিটিজ আছে। আমরা পুঁজিবাজারে যতক্ষণ পর্যন্ত না ইকুইটি প্রোডাক্টের পাশাপাশি কার্যকর ডেট প্রোডাক্ট বা সিকিউরিটিজ দিতে না পারব ততক্ষণ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের ভারসাম্যের জায়গায় ঘাটতি থেকে যাবে।