বিনোদন ডেস্ক:
সারাদেশে করোনার ভয়াল থাবায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। লকডাউনে আছে অনেক জেলা। আবার ঢাকার অনেক অঞ্চল লকডাউনে রয়েছে সময় সাপেক্ষে। এমন সময় সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে থাকায় জরিমানা দিতে হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জাকে। গত, বুধবার রাজধানীর মৌচাক মোড়ে তাকে এই অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে জরিমানা গুনেও করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রশাসনের এমন দায়িত্বশীলতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীমের সহায়তায় অভিযান চালান ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা। এসময় নির্দেশ ভেঙে বাহিরে বের হয়েছিলেন তমা আর নির্দেশ ভাঙ্গায় তমাকে জরিমানা দিতে হয় ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে তমা মির্জা গণমাধ্যমকে জানান, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে একটি টেলিভিশনে প্রচারিত সচেতনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের শুট ছিল। শুটিং শেষ হতে হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বাজে। এরপর বাসায় ফেরার পথে মৌচাকে পুলিশ আমার গাড়ি থামায়। তারা জানতে চাইলে, আমি আমার শুটিংয়ের কথা বলি। সঙ্গে এও বলি সন্ধ্যার পর যেহেতু আমি বাহিরে, এটা আমার অপরাধ। আইন অমান্যের শাস্তি বা জরিমানা যা হবে আমি মেনে নেব। কারণ আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে চেনার পর উনারা আমাকে সম্মান দিয়েছেন। গাড়িতে আমি আর আমার ড্রাইভার ছিলাম, সবার মতো আমিও সচেতন। আমার গাড়িতে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দুটোই ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, যেহেতু কাজের কারণে আমাকে বের হতে হয়েছে এবং পরিস্থিতির শিকার তাই আপনাকে নূন্যতম একটা জরিমানা করা হবে। তাই তিনি আমাকে ৫০০টাকা জরিমানা করেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি জরিমানা দিয়েছি। তবে বেশ কিছু সময় আমাদের কথা হয়। ওইসময় দেখলাম যাদের জরিমানা করা হচ্ছে তাদের সুন্দর করে বুঝিয়েও দেওয়া হচ্ছে করোনা থেকে সাবধান হতে। বাসায় ফেরার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহনাজ হোসেন ফারিবা আমাকে একটা মাস্ক উপাহার দেন। সূত্র: সময় টিভি।
এসএমজে/২৪/বা