দেশের পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক হারে কিছু শেয়ারের দর বেড়েছে। এমনকি লেনদেনও বেড়েছে। তারপরও তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদরে পরিবর্তন নেই। এখনও ৬০ শতাংশ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। এসব শেয়ারের কোনো ক্রেতা নেই। স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহ শেষে ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকা শেয়ার ছিল ২৩০টি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৩২টি। এ বাজারে মোট তালিকাভুক্ত শেয়ার ও মিউচুয়াল আছে ৩৯২টি।
দেখা গেছে,বাজার মূলধনে ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানিগুলোর অংশ ৬৯ শতাংশ। ফ্লোর প্রাইস থেকে মাত্র ২০ পয়সা ওপরে কেনাবেচা হওয়া স্কয়ার ফার্মা ফ্লোর প্রাইসে নামলে এ হার ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়। অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা তিন-চতুর্থাংশ শেয়ারের ক্রেতা নেই। এসব কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার চাইলেও তাদের শেয়ার বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন না।
অধিকাংশ তালিকাভুক্ত শেয়ারের যখন এ অবস্থা, তখন লেনদেন বা দরবৃদ্ধিতে চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহের বীমা খাত একক প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। ডিএসইর লেনদেন বৃদ্ধিতে এ খাতের অবদানই সবচেয়ে বেশি।
বড় খাতের মধ্যে বীমার শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে তুলনামূলক কম আটকে রয়েছে। খাতওয়ারি দেখা গেছে, তালিকাভুক্ত ৫৭ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৫১টিই এখন ফ্লোর প্রাইসের ওপরে অবস্থান করছে।
ব্যাংক খাতের ৩৫ কোম্পানির মধ্যে ৩০টি ফ্লোর প্রাইসে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টির মধ্যে ২২টি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ২৩টির মধ্যে ১৬টি, প্রকৌশল খাতের ৪২টির মধ্যে ২৮টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩২টির মধ্যে ২১টি, বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৪৮টি এবং টেলিযোগাযোগ খাতের তিন কোম্পানির সব ফ্লোর প্রাইসে।
ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকায় আটকে ছিল।এখন প্রতিদিনই ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। মনে হতে পারে শেয়ারবাজার পরিস্থিতি হয়তো ভালো হচ্ছে। আদতে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর মুখ বেজার। কারণ প্রায় ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। যেখানে অল্প কিছু শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ছে। ফলে লেনদেন বাড়লেও দুর্দশা কাটছে না বিনিয়োগকারীদের।