দরবৃদ্ধি বা পতন দুই ক্ষেত্রেই অপেক্ষাকৃত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারগুলোর প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। কোনো কোনো শেয়ার বেশ খানিকটা দর বেড়ে দর সংশোধনের ধারায় যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নতুন করে অন্য কিছু শেয়ার যুক্ত হচ্ছে। ভালো কোম্পানিগুলো যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই অর্থাৎ ক্রেতাশূন্য অবস্থায় ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকছে। লেনদেন আবর্তিত হচ্ছে গুটিকয় শেয়ারে।
এই চিত্র পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালো শেয়ার সম্পর্কে অনাস্থা ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে হতাশ হচ্ছেন, অথবা ভুল পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করছেন। এভাবে তাদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। এটি একটি নেতিবাচক দিক পুঁজিবাজারের জন্য। এই কারণে অনেক বিনিয়োগকারী লেনদেনে সক্রিয় হয়ে আবার অল্প সময়ে মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। যার জন্য একদিন লেনদেন হাজার কোটি হলেও পরের দিনই অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
লেনদেনের গতি ধরে রাখাটা যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি বিনিয়োগকারীদের বাজারের ধরে রাখাটাও কম গুরুত্ব নয়। এ জন্য সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ দরকার। একই সঙ্গে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে কিনা, তার একটা উত্তর খোঁজা দরকার। না হলে পুঁজিবাজারের সঠিক চিত্র বোঝা যাবে না।