নিজস্ব প্রতিবেদন:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানির শেয়ার আজ ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরছে । কোম্পানিগুলো হলো- বিডি মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
তবে, মূল মার্কেটে লেনদেনের প্রথম দিনেই অর্থা্ৎ আজ ১৩ জুন (রোববার) কোম্পানি ৪টির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে হল্টেড হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন)ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানিগুলোর পুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন অনুমোদন দিয়েছে।
মূল মার্কেটে লেনদেনে আসলেও কোম্পানিগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভের শেষ নেই। বিনিয়োগকারীদের মতে কোম্পানিগুলোর আগের রিপোর্ট ভালো ছিলনা বলেই ওটিসিতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মূল মার্কেটে আবার আনায় বিনিয়োগকারীরা খুব একটা লাভজনক ব্যাবসা করতে পারবে বলে মনে করছে না।
বিডি মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং :
৫৫ টাকায় লেনদেনে আসা বাংলাদেশ মনসপুল পেপারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ টি শেয়ার কেনার আবেদন থাকলেও বিক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।
১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৫৩.৮২ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯ শতাংশ ক্যাশ ও ৮ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এছাড়া, কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে ১:২ অনুপাতে রাইট শেয়ারে টাকা উত্তোলন করেছে।
পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং :
১৭ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেনে আসা পেপার প্রসেসিংয়ের ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪৪টি শেয়ার কেনার আবেদন থাকলেও বিক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।
১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৪৩.৯৭ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ও ১১ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
মুন্নু ফেব্রিকস :
১১ টাকায় লেনদেনে আসা মুন্নু ফেব্রিক্সের ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯৯ টি শেয়ার কেনার আবেদন থাকলেও বিক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।
১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৪৬.৭৯ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে।
কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড :
তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার মূল মার্কেটে ১৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেনে আসে। কোম্পানিটির ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯২৩ টি শেয়ার কেনার আবেদন থাকলেও বিক্রেতার ঘর ছিল শূন্য।
১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালক ৫৬.২২ শতাংশ শেয়ার ধারন করেছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত সময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০১৯ সালে ২৭ শতাং, ২০১৮ সালে ২৫ শতাংশ, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ ও ২০১১ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। চলবে……
এসএমজে/২৪/মি