গত দুই দশকে তথ্যপ্রযুক্তিসহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ফলে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। এতে বেড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য-শিক্ষা-সংস্কৃতির আদান-প্রদান। এছাড়া সামগ্রিক উন্নয়নে মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী নিজেদের প্রয়োজনমতো প্রতিটি ক্ষেত্রে একে অন্যের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে। এতে ব্যক্তি এবং দেশ উভয়ই উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি পারছি সে অনুযায়ী আমাদের বিকাশ ত্বরান্বিত করতে? এটি একটি জরুরি প্রশ্ন। এই প্রশ্ন মেকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমান দুনিয়ার সঙ্গে তাল মেলাতে না পারলে আমরা একঘরে হয়ে পড়বো। আমাদের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা এবং এর উন্নয়ন সাধন করতে পুঁজিবাজার আমাদের অন্যতম হাতিয়ার। এ ক্ষেত্রে বিশ্বমানের পুঁজিবাজারই হচ্ছে আমাদের জন্য সহায়ক। এর জন্য আমাদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার কথা বলছি। সেখানে জবাবদিহিমূলক অর্থনীতির ভূমিকা সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে এই বোধ জাগ্রত করতে পারলে বিশ্বমানের পুঁজিবাজার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এর জন্য দরকার সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করা।