রাইট শেয়ার দিয়ে জেড ক্যাটাগরিতে কোম্পানি: বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির দায় কার?

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোয় বিনিয়োগ করেন মুনাফার জন্য। এই বিনিয়োগ বৈধ এবং সরকার স্বীকৃত। এই প্রক্রিয়া দেখভাল করার জন্য সরকারের সংস্থাও রয়েছে। এখন সেই দেখভালে কতটা ভরসা রাখা যায়, এনিয়েও প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। বিশেষ করে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে পুঁজিবাজারের প্রক্রিায় যুক্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে অনেক কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করার পরও আবার দুয়েক বছর পর রাইট শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করছে। এখন এভাবে একাধিকবার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর কোম্পানিগুলোর অবস্থা কী দাঁড়ায়, সেটি হচ্ছে আশঙ্কার বিষয়। এটি দেখাশোনার কাজ সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তি কতটুকু করতে পারছে। দেখা যায় অনেক কোম্পানির প্রকৃত চিত্র দুর্বল কিন্তু পুনারায় তারা বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করছে। এরপর গড়িয়ে গিয়ে পড়ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। এর দায় কে নেবে? যেমন- ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বিডি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে এক কোটি শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তালিকাভুক্তির পরের বছর ২০১১ সালে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে পুনরায় বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। ওই বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের একটা রাইট শেয়ার ইস্যুর করা হয়। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ টাকা। তখন কোম্পানিটি ২১ কোটি রাইট শেয়ার ইস্যু করে ৩১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করে। অথচ তালিকাভুক্তি পর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেনি প্রতিষ্ঠানটি। সব সময়ই ইউনাইটেড এয়ার বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

আমরা বলতে চাই, পুঁজিবাজার সঠিক নিয়ম মেনে চলুক। এতে দেশ এবং ব্যক্তি উভয়ই উপকৃত হতে পারে। আর যদি এটি ঠিক মতো দেখভাল করা না হয় তাহলে গণমানুষের টাকা ঝুঁকিতে পড়বে। যা কাম্য নয়। পাশাপাশি অনিয়মের জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Tagged