মানুষের দুর্দিনে বাজারে ন্যায্যতা থাকা জরুরি

দেশবাসীর দুর্সদিনে অনেকেই সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এসময় আমদানিকারকরাও অতি মুনাফার চিন্তা করবেন না, এটিই প্রত্যাশিত। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি- বরং পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে একশ্রেণির আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ী। সম্প্রতি গণমাধ্য খবর হয়, আদার মতো পণ্যের ক্ষেত্রে আমদানি খরচের পাঁচ গুণ বেশি দাম গুনতে হচ্ছে খুচরা ক্রেতাদের। অন্যান্য আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি প্রায় একই রকম।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও বাজারের এমন চিত্র দেখে আমরা বিক্ষুবব্ধ নিশ্চয়ই, কিন্তু বিস্মিত নই। চোরে যে ধর্মের কাহিনী শোনো না, অতীতে অনেকবারই প্রমাণ হয়েছে। বিশেষত বাজারের ক্ষেত্রে প্রতিবছর রমজানেই একশ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ক্রেতার পকেট কাটার অপচেষ্টা চালায়।এতে করোনা পরিস্থিতিতে বাজার ব্যবস্থার অস্থিতিশীলতা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসছে।
এ সময় রাজধানীর কয়েকটি বাজারে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে আবারও জরিমানা এবং দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। যদিওএই সামান্য জরিমানা অসৎ ব্যবসায়ীদের কতটা দমানো যাবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রয়োজন আরও বড় অঙ্কের জরিমানা। অতি মুনাফার লোভ ত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখা দরকার।
কারণ এসময়ে বাজারে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করাই গুরুত্বপূর্ণ।

Tagged