পুঁজিবাজারে নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা আবারও সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তাতে বাজারে বাড়ছে লেনদেন। বাজারের পতন ঠেকাতে গত রোববার থেকে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোরপ্রাইস বেঁধে দেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পর থেকে বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেন নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা। এতে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হচ্ছে। গত প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে এটিই ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন। এর আগে সর্বশেষ ১০ মে ডিএসইতে ১ হাজার ২৫৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। রোববার লেনদেন শুরুর আগে ফ্লোর প্রাইস বসানো হয়েছিল। এরপর তিন কার্যদিবসের প্রতিদিনই বাজারে লেনদেন বেড়েছে।
টানা দরপতনের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ৬ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায়। আর তখনই পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস বসানো হয়। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বাজারে ফিরতে শুরু করেছেন। এটি পুঁজিবাজারের জন্য ভালো লক্ষণ।