বিনিয়োগবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে পুঁজিবাজরের সংকট দূর করা সম্ভব

এখন থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব হবে শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয় বলে সংবাদমাধ্যম জানায়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ২৬ক উপধারা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

এর আগে ২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মতামত দেয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সেই মতামত পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

২০১০ সালের ধসের পর থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট হিসাবের ক্ষেত্রে শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে বাজারমূল্য হিসেবে বিবেচনার দাবি করে আসছিলেন শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে এ নিয়ে আলোচনা চললেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারকে গতিশীল করবে বলে আমাদের ধারণা। একই সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিনিয়োগবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে পুঁজিবাজারের সংকটও দূর করা সম্ভব।

Tagged