বছরের শুরুটা ভালো হয়নি দেশের পুঁজিবাজারে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই সূচক ও লেনদেন—উভয়ই কমেছে। ফলে হতাশা দিয়েই পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের নতুন বছরটি শুরু করতে হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট কমে আবারও ৬ হাজার ২০০ পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। আর লেনদেন কমে নেমেছে ২০০ কোটির নিচে।
বাজারে এখন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশই নিষ্ক্রিয়। ফলে বাজারে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে লেনদেন খরা চলছে। বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সাহস দেখাচ্ছেন না।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে। তবে সূচক ও লেনদেনের ক্ষেত্রে সেসব কোম্পানির অবদান একেবারেই নগণ্য। এ কারণে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিলেও সেসব কোম্পানির কোনো প্রভাব সূচক ও লেনদেনে পড়ছে না। ফলে দূর হচ্ছে না হতাশাও।