দেশের পুঁজিবাজারকে শক্ত-পোক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার সম্পর্কে যত জ্ঞান অর্জন করবেন, পুঁজিবাজার তত ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। এ কারণেই তাদেরকে সচেতন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। এই কাজটি বর্তমান সময়ে দ্রুত ও ভালোভাবে করা সম্ভব। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির ফলে মানুষকে সংযুক্ত করার সুযোগ বেড়েছে। যে কোনো তথ্য অতি তাড়াতাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। এক সময় কিছু একটা জানাতে হলে চিঠি চালাচালি করতে হতো, দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। এখন একটি ক্ষুদেবার্তা বা ই-মেইলেই এটি করা সম্ভব। সুতরাং ইচ্ছা থাকলে বিনিয়োগকারীদের সচেতন করা আগের তুলনায় এখন অনেক সহজ।
এক সময় কর্মাশালা করে, বক্তৃতা দিয়ে হয়তো এক-দেড়শ মানুষকে কিছু একটা শেখানো যেতো, এখন এক ক্লিকেই হাজার হাজার মানুষকে যুক্ত করা সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরও দায় আছে। বাজারে এখন অনেক সহজ করে লেখা ভালো ভালো বই রয়েছে পুঁজিবাজার বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য। ইচ্ছা থাকলে সেগুলো পড়ে নিজের জানার পরিধি বাড়ানো যায়। আইপি টিভি আছে- যেখানে সহজ ফর্মুলা দিয়ে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয়। এগুলো বিনিয়োগকারীদের মাথায় নিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও বিশেষজ্ঞদের নানাভাবে যুক্ত করে পুঁজিবাজারে সচেতনতা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে পারে।