পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বছর বছর ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের দেখার যেনো কেউ নেই। ব্রোকারেজ হাউস ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মালিক মো. শহিদুল্লাহ। ২০২০ সালের মে মাসে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বিনিয়োগকারীর ৬৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মধ্যে ঘটে এ ঘটনা। এর পর কিছু বিনিয়োগকারী এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা ফেরতও পান। বাকিরা টাকা খোয়ানো টাকা এখনও ফিরে পাননি।
শুধু ‘ক্রেস্ট’ নয়, অধ্যাপক শিবলী বিএসইসির চেয়ারম্যান হওয়ার পরের সোয়া বছরে ‘বানকো’ ও ‘তামহা’ নামে আরও দুটি ব্রোকারেজ হাউসের মালিক প্রায় পাঁচ হাজার বিনিয়োগকারীর ২৬৮ কোটি টাকা মেরে দেন। এই তিন ব্রোকারেজ হাউসের প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার বিনিয়োগকারীর লোপাট হওয়া প্রায় ৩৩৩ কোটি টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬ কোটি টাকা ফেরত এসেছে বলে ডিএসইর তথ্য সূত্রে জানা যায়।
টাকা ফেরত পেতে বিএসইসি ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা বারবার ধরনা দিলেও হারানো টাকা আর তাদের পকেটে আসছে না। তারা আদৌ হারানো টাকা ফেরত পাবেন কিনা, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা রয়েছেন অনিশ্চয়। বিএসইসির কর্মকর্তারা বলছেন, এটি ডিএসইর কাজ। ডিএসইর কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আইনি ক্ষমতা সীমিত। জোর বা অন্য উপায়ে কারও কাছ থেকে টাকা আদায়ের এখতিয়ার নেই। দুই সংস্থার এ রকম ঠেলাঠেলিতে পেরিয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। মুনাফার আশায় লগ্নি করে সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে বিপাকে পড়া বিনিয়োগকারীরা ঘুরছেন পথে পথে।
এটি কেবল বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বাজারের ভাবমূর্তি। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিনিয়োগকারী পুঁজি নিরাপদ করার উদ্যো নিতে হবে।