বিনিয়োগকারীদের দাবিগুলো গঠমূলকভাবে বিবেচনা করা হোক

পুঁজিবাজারের স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে লক্ষ্যে ১২ দফা দাবি পেশ করেছে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশন।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে মহাধসের পর বিনিয়োগকারীরা এতোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন যে, অনেকে পুঁজি হারিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অনেকে মানসিক যন্ত্রণায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ফেরত পেতে নতুন বিনিয়োগ করলেও বারংবার অদৃশ্য চক্রের কাছে পরাজিত হয়েছে- যা বর্তমানেও চলমান।

বিশেষ করে তাদের মতে, ফ্লোর প্রাইস অব্যাহত থাকায় বিনিয়োগকারীদের নীরব রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। এভাবে ফ্লোর প্রাইসের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেলে লেনদেনে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হবে। যেমন- তালিকাভুক্ত প্রায় ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে প্রায় ২৮৫টি কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে। এটি একটি অসুস্থ মার্কেটের লক্ষণ। একদিকে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বৃদ্ধি পাচ্ছেনা, অপরদিকে, মার্জিন ঋণের কারণে ইন্টারেস্ট ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। এতে কিছুদিন পর বিনিয়োগকারীদের পোর্টফ্লোলিও শুন্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরূপ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীরা এক সময় বাজার বিমুখ হবে এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আস্তে আস্তে চলে যেতে বাধ্য হবে। যদিও বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষার্থেই ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কাজেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজির সুরক্ষার লক্ষ্যে এবং পুঁজিবাজারের স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য মার্জিন ঋণের ইন্টারেস্ট বন্ধ করণ ও ফ্লোর প্রাইস বিষয়ে বিএসইসিকে অতি দ্রুত গঠন মূলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আমরাও এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার গঠনমূলক বিবেচনা আশা করছি।

Tagged