দেশ ও দেশের বাইরে অর্থনৈতিক নানা উৎকণ্ঠার কারণে দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি পুঁজিবাজারও খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। পুঁজিবাজারের পতন অধিক থেকে অধিকতর হওয়ার আগেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে ফ্লোর প্রাইস। এই ফ্লোর প্রাইস বড় ধরনের পতন থেকে পুঁজিবাজারকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়েছে। যা বাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় ধরনের স্বস্তি হিসেবে। দেখা দিয়েছে। তবে এই ফ্লোর প্রাইসও এক সময়ে এসে বিনিয়োগকারীদের অসন্তষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্লোর প্রাইস আরোপের কারণে বিনিয়োগকারীরদের এখন অর্থের প্রয়োজন হলেও, ফ্লোর প্রাইসে শেয়ার আটকে থাকার কারণে শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। আবার চাইলেও ফ্লোর প্রাইসের শেয়ার বিক্রি করে অন্য কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারছেন না।
এছাড়াও, বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থার কথা চিন্তা করে অনেক বিনিয়োগকারী সাইড লাইনে অবস্থান করছেন। যেহেতু বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে, তাই এখনই কোনো বিনিয়োগকারী নতুন করে বাজারে বিনিয়োগ করছেন না। তারা অপেক্ষা করছেন একটি সুযোগের জন্য। তবে বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।