বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কে রেখে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়

পুঁজিবাজারকে যদি একটি দেহের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা হলে বিনিয়োগকারীরা সেই দেহের প্রাণ। তাই বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কে রেখে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি বাজারের আগ্রাসী পতন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাজের সমন্বয়হীনতা বাজারে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

গতকালও বাজারে আগ্রাসী পতন দেখা গেছে। পুঁজিবাজারে আরও বড় পতন হতে পারে এমন ভয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কাজ করতে পারে। তাই তাদের ভয় দূর করার জন্য এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৭৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২২১ পয়েন্ট।

সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে পুঁজিবাজারে টানা ছয় কার্যদিবস দরপতন হলো।

পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কয়েকদিন মূল্যসংশোধন হয়েছে। এরপর বিনিয়োগের অপরাধে সোনালী ব্যাংককে জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তাতে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা থেকে সরে এসেছে। এই খবরে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করে। বাজারে তৈরি হয় ক্রেতা সংকট, কমতে থাকে সূচক। আর সূচক কমায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আরও দরপতন হতে পারে এই ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেই ধাক্কায় দরপতন হচ্ছে।

আমরা মনে করি কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে সংকট দূর করার জন্য। না হলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

Tagged